Dhaka ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪, আহত ১৬৭০

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ১৫ Time View

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৬৭০ জন। শনিবার (২৯ মার্চ) দেশটির জান্তা সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।

ভূমিকম্পটির তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও।

সেতু ও ভবন ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে মিয়ানমারের ঐতিহাসিক সাগাইং সেতু ধসে পড়েছে। এছাড়া মান্দালয়, নেপিদো, পিনমানা, অউংবান ও ইনলে অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙে পড়েছে।

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ১৪ আফটারশক
ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় এক্সপ্রেসওয়ের ওপর অবস্থিত দোথেতাওয়াদি সেতুও ভেঙে গেছে। এছাড়া ৩৬২ মাইল দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের বেশ কয়েকটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে কিছু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তথ্য পাওয়া কঠিন কেন?
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সামরিক জান্তার শাসনে রয়েছে, যা তথ্য প্রবাহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। দেশটির সরকার প্রায় সব ধরনের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে টেলিভিশন, রেডিও, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যম অন্তর্ভুক্ত। ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপরও কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে।

৬ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা
শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার। সাগাইং, মান্দালাই, ম্যাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিদো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির তদন্ত করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ সমন্বয় করবেন।

মিয়ানমারে শুক্রবারের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অন্তত ১৪টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।

ইউএসজিএস-এর ইন্টারঅ্যাক্টিভ মানচিত্র অনুসারে, অধিকাংশ কম্পনের মাত্রা ছিল ৩ থেকে ৫ এর মধ্যে। সবচেয়ে শক্তিশালী আফটারশকটি ছিল ৬ দশমিক ৭ মাত্রার, যা প্রথম ভূমিকম্পের মাত্র ১০ মিনিট পর আঘাত হানে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা, এএফপি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪, আহত ১৬৭০

Update Time : ০৩:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৬৭০ জন। শনিবার (২৯ মার্চ) দেশটির জান্তা সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।

ভূমিকম্পটির তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও।

সেতু ও ভবন ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে মিয়ানমারের ঐতিহাসিক সাগাইং সেতু ধসে পড়েছে। এছাড়া মান্দালয়, নেপিদো, পিনমানা, অউংবান ও ইনলে অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙে পড়েছে।

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ১৪ আফটারশক
ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় এক্সপ্রেসওয়ের ওপর অবস্থিত দোথেতাওয়াদি সেতুও ভেঙে গেছে। এছাড়া ৩৬২ মাইল দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের বেশ কয়েকটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে কিছু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তথ্য পাওয়া কঠিন কেন?
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সামরিক জান্তার শাসনে রয়েছে, যা তথ্য প্রবাহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। দেশটির সরকার প্রায় সব ধরনের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে টেলিভিশন, রেডিও, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যম অন্তর্ভুক্ত। ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপরও কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে।

৬ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা
শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার। সাগাইং, মান্দালাই, ম্যাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিদো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির তদন্ত করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ সমন্বয় করবেন।

মিয়ানমারে শুক্রবারের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অন্তত ১৪টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।

ইউএসজিএস-এর ইন্টারঅ্যাক্টিভ মানচিত্র অনুসারে, অধিকাংশ কম্পনের মাত্রা ছিল ৩ থেকে ৫ এর মধ্যে। সবচেয়ে শক্তিশালী আফটারশকটি ছিল ৬ দশমিক ৭ মাত্রার, যা প্রথম ভূমিকম্পের মাত্র ১০ মিনিট পর আঘাত হানে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা, এএফপি