সোমবার মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। দেশটির নেত্রী ও কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের আটক করেছে সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের ঘটনায় জরুরি বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যায়। খবর এএফপি’র
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে রুদ্ধদ্বার এই আলোচনা শুরু হয়েছে।
সোমবার ভোরে নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগ তুলে দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এ সময় অভিযান চালিয়ে অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর জানায় সেনাবাহিনী।
খসড়া প্রস্তাবে মিয়ানমারে বেআইনিভাবে আটক সবাইকে মুক্তি দিতে সেনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্য খসড়া এ প্রস্তাবটি প্রস্তুত করেছে। এক বছরের জন্য জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান রয়েছে এতে। সব পক্ষকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অনুসরণের আহ্বান জানানোর প্রস্তাবে অবশ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা নেই। তবে প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হতে হলে চীনের সমর্থন পেতে হবে।
নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্ণনা করবেন নেপিদোতে নিয়োগকৃত জাতিসংঘের দূত এবং সুইডিশ কূটনীতিক ক্রিস্টিন শার্নার বার্গেনার।