মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম এবং আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওয়াশিংটনের দাবি, হংকংয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা খর্ব করার ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তির ভূমিকা আছে।
এক নির্বাহী আদেশ বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। গত মাসে হংকংয়ের ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে চীন যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেজন্য তাদেরকে শাস্তি দিতে ট্রাম্প ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে তার এমন পদক্ষেপকে নাটকীয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ক্যারি লাম, হংকংয়ের পুলিশ কমিশনার ক্রিস তাং, তার পূর্বসূরি স্টিফেন লো, হংকংয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক সচিব জন লি কা-চিউ, এবং আইন সচিব তেরেসা চেংয়ের বিরুদ্ধে।
এছাড়া, নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে হংকংয়ে চীনের শীর্ষ কর্মকর্তা লুও হুইনিং, হংকং ও ম্যাকাউ বিষয়ক বেইজিং অফিসের পরিচালক সিয়া বাউলংয়ের বিরুদ্ধে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ বলেছে, চীনের চাপিয়ে দেয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইন হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনকে খর্ব করেছে। হংকংয়ে স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দমন করে বেইজিংয়ের নীতিকে বাস্তবায়নের জন্য সরাসরি দায়ী প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম।
আলাদা এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, এর মধ্যদিয়ে তাদের কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা যাবে। তা হলো, হংকং কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা অগ্রহণযোগ্য।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া ব্যক্তিদের যেসব সম্পদ আছে যুক্তরাষ্ট্রে তা বাজেয়াপ্ত হবে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে কেউ ব্যবসা বা কোনো লেনদেন করতে পারবে না।
এদিকে, হংকংয়ের বাণিজ্য সচিব এডওয়ার্ড ইয়াউ আজ বলেছেন, ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপ অসভ্য ও বর্বর। তিনি এই নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের জন্য হংকংয়ে মার্কিন কোম্পানি ও তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।