মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
ফোনালাপে বাইডেন সার্বজনীন মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন-বলে জানায় হোয়াইট হাউস।
সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের আগে দুই নেতার মধ্যে এই ফোনালাপ হলো। খাসোগি হত্যার প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দপ্তর। প্রতিবেদনটি দুই-একদিনের মধ্যেই শিগগিরই প্রকাশ করা হতে পারে। সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ হতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, খাসোগি হত্যার প্রতিবেদনটি পড়ার পর বাদশাহ সালমানের সঙ্গে জো বাইডেনের এই ফোনালাপ হলো।
সালমান-বাইডেনের ফোনালাপ নিয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে খাসোগির নাম উল্লেখ করা হয়নি। বিবৃতি বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি নারী কর্মী লুজাইন আল-হাথললকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ায় সৌদি সরকারের প্রশংসা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সর্বজনীন মানবাধিকার এবং আইনের শাসন ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সে বিষয়েও জানিয়েছেন।
এছাড়া এই দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যকার দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব এবং ইরানপন্থী গ্রুপগুলো সৌদি আরবের জন্য কতটা হুমকির এসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং বাদশাহ সালমান যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব সম্পর্ককে আরও স্বচ্ছ করতে কাজ করবেন।
বাইডেনের পূর্বসূরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক ছিল। তবে বাইডেনের সময় ঠিক তেমনটা থাকছে না। তিনি সৌদি আবরের সম্পর্কে কঠোর অবস্থান নিবেন বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হয়। যদিও যুবরাজ তার জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাশুগজিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যাদের পাঠানো হয়েছিল, তাদের বাড়াবাড়ির কারণেই ভিন্নমতাবলম্বী ওই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত। গত বছর ওই সাজা ২০ বছরের কারাদণ্ডে নামিয়ে আনা হয়।