আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন এখন অপরিহার্য একটি উপাদান। দিনের কোনও না কোনও সময় এটি আমরা ব্যবহার করে থাকি।

তবে মোবাইল ফোন আমাদের উপকারের পাশাপাশি মারাত্মক ক্ষতিও করে থাকে এ থেকে নির্গত রেডিয়েশনের মাধ্যমে।

মোবাইলে কল করার সময় অর্থাৎ ওপাশে রিং বাজার সময়ই ক্ষতিকর এই রেডিয়েশন নির্গত হয় অনেক বেশি। তাই, আসুন জেনে নিই কিভাবে আমরা এই ভয়ঙ্কর মোবাইল রেডিয়েশনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারি।

কল রিসিভ করার পর মোবাইল ফোন কানের কাছে আনুন। কথা বলার সময় সম্ভব হলে হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। তাতে রেডিয়েশনের ক্ষতি থেকে কিছুটা হলেও বাঁচা যাবে। হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলবেন না। দুর্বল নেটওয়ার্কে রেডিয়েশন বেশি নির্গত হয়। এ সময় কথা সংক্ষিপ্ত করুন।

ঘুমের সময় মোবাইল ফোন মাথার কাছে রাখলে তা ঘুমের পরিমাণ ও গভীরতার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন রান্নাঘরে (চুলা থেকে দূরে) বা অন্য কোনও দূরত্বে রাখুন।

গাড়িতে বসা অবস্থায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার সীমিত করুন। গাড়ির ভেতরে রেডিয়েশন শিল্ড থাকায় ফোনসেটটি রেডিয়েশনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। সময়মতো জেগে ওঠার সুবিধার্থে পারতপক্ষে মোবাইল ফোনে নয়, ঘড়িতে অ্যালার্ম দিন।

অন্ধকারে স্ক্রিনের আলো শুধু চোখের ক্ষতিই করে না; ঘুমের জন্যে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণেও বাধা দেয়। তাই অন্ধকারে এ যন্ত্রগুলো ব্যবহার করা বন্ধ করুন। আর রাতে ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিরত থাকুন।

স্মার্টফোনের বিভিন্ন সার্ভিস যেমন- ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস, ইন্টারনেট সংযোগ ইত্যাদি প্রয়োজন শেষ হলে অফ রাখুন। এগুলোর রেডিয়েশন দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেইসাথে আপনার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যেতে পারে প্রযুক্তি মাফিয়াদের কাছে।

শোবার ঘরে ওয়াইফাই রাউটার রাখবেন না। রাত ১১টায় রাউটার বন্ধ করে দিন। ফোন শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। মোবাইল টাওয়ার থেকে যতটা সম্ভব দূরে বাসা নিন।

নিজ বাসভবনে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করতে দেবেন না। এতে সামান্য আর্থিক ক্ষতি হলেও রক্ষা পাবে আপনার পরিবার ও প্রতিবেশীদের অমূল্য স্বাস্থ্য।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে