কাহালু(বগুড়া) প্রতিনিধি :

“মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে” এই কথাগুলো যে কত সত্যি তারই প্রমাণ দিয়ে চলেছেন ইউএনও মো. মাছুদুর রহমান।

গত ২১/০৫/২০১৯ইং তারিখে বগুড়ার কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন মো. মাছুদুর রহমান। যোগদানের পর থেকে কাহালু উপজেলাবাসীকে বারবার চমক দেখে আসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান। তিনি শতভাগ হাট-বাজার ইজারা এবং সরকারি খাস পুকুরও ইজারা দিয়ে সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হিসেবে কাহালু উপজেলার সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন। রাতের আঁধারে কাহালু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন তিনি। পাইকড় ইউনিয়নে ৩০ শতক সরকারি খাস জায়গার উপর নির্মিত বিল্ডিং সহ ৪টি বাড়ী ভেঙ্গে দিয়ে সরকারি জায়গা উদ্ধার, জামগ্রাম ইউনিয়নের শান্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটে সরকারি খাস জায়গার উপর নির্মিত দোকানঘর ভেঙ্গে দিয়ে সরকারি জায়গা উদ্ধার, প্রকৃত কৃষক যেন কাহালু খাদ্য গুদামে ধান দিতে পারে সেইজন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছিলেন, বীরকেদার ইউনিয়নের শেখাহার সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে লাচ্ছা সোমাই কারখানায় একাধিকার ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে জরিমানা করেছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়া উঠা বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে একাধিকার ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে জরিমানা করেছিলেন, কাহালু সদর ইউনিয়নের মহেশপুর সহ প্রায় ৮/১০টি গ্রামের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেছিলেন, বাল্য বিবাহ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা জেল-–জরিমানা করেছেন তিনি একাধিকবার, কারোনা কালীন সময়ে তিনি উপজেলার অসহায় মানুষের বাসায় সরকারি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন, বিবিরপুকুর প্রতিবন্ধী স্কুলের বেদখল জায়গা উদ্ধার করে দিয়েছেন তিনি, সম্প্রতি কালাই ইউনিয়নের পিলকুঞ্জ সরকারি খাস জায়গার উপর গৃহহীনদের জন্য বাসগৃহ তৈরির বেদখল জায়গা দখল করে তিনি গৃহহীনদের বাসগৃহ তৈরি করে দিচ্ছেন। বৈশ্বিক মহামারিতে রুপ নেওয়া মরণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে বগুড়ার কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান দায়িত্বশীল কর্ম তৎপরতায় উপজেলার সর্বমহলে প্রশংশিত হয়ে উঠেছেন। এ ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টি, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট ও উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন ইউএনও।

কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান অত্যন্ত পরিশ্রমী একজন কর্মকর্তা। তিনি সরকারি খাস জায়গা উদ্ধার, অনুমতি ছাড়া কেউ যেন আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে না পারে সে ব্যাপারে তিনি খুব স্বোচ্চার এবং উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা পালন সহ কাহালু থানা পুলিশের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি।

একাধিক জনপ্রতিনিধিরা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান কাহালুতে যোগদানের পর থেকেই জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন নিষ্ঠাবান-কর্মঠ ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ইউএনও অতীতে খুব কম পেয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এবং সকল ক্ষেত্রে তিনি কাহালুতে যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তাও নজিরবিহীন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে তিনি কেবল ইউএনও নন, কাহালু উপজেলার একজন সচেতন অভিভাবকও। সেক্ষেত্রে কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান জানান, কাহালু উপজেলায় যোগদানের পর থেকে গণ-প্রজাতন্ত্রের একজন সেবক হিসেবে সরকারি নির্দেশনা মতে কাজ করে যাচ্ছি। সারাদেশের ইউএনও সহ সরকারি কর্মকর্তারা যেভাবে কাজ করছে আমিও সেভাবে কাজ করছি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা সহ বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক সহ অনেকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে