Dhaka ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদকের বিরুদ্দে মংলায় থানা পুলিশের কঠোর হুশিয়ারি বার্তা।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০
  • ১৬১ Time View

মোংলা প্রতিনিধি:
হয় মাদক ছারুন নতুবা মোংলা ছারুন এমন হুশিয়ারি বার্তা দিচ্ছে মোংলা থানা পুলিশ।মাদকে সম্পূর্নরূপে নির্মুল করতে মোংলা থানা পুলিশের ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহন করেছে।চিহ্নিত মাদক সেবনকারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে এবং মাদক কারবারীদের ব্যবসা বন্ধে মোংলা পৌর এলাকা সহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচারণা শুরু করেছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত চলছে পুলিশের মাদক বিরোধী এলাকা ভিত্তিক উঠান বৈঠক ও সচেতনতামুলক কর্মকান্ড। বৃহস্পতিবার দিনভর এবং গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের একাধিক টিক ভ্যান গাড়ীতে মাইক লাগিয়ে মাদকাসক্তদের নেশা দ্রব্য সেবন আর মাদককারবারীদের মাদকের ব্যবসা বন্ধে পুলিশের প্রচারণা ও সতর্ক বার্তা প্রচার করতে দেখা গেছে। এ সময় প্রচারণা সতর্ক বার্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হয় মাদক ছারুন নয় মোংলা ছাড়ুন। মাদক সেবন বিক্রয় করা যাবে না।  মাদক সেবন পরিহার কোরতে সব রকম সহযোগিতা আমরা করবো। মাদক সেবন ও বিক্রয়কারীদের তালিকা আমাদের কাছে আছে।
এ ব্যাপারে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, মোংলাসহ পুরো বাগেরহাট জেলাকে মাদক মুক্ত করতে জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়ের পক্ষ থেকে প্রতিটি থানায় কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে মোংলা থানা পুলিশও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডকে তিন ভাগে ভাগ করে তিনটি আর ছয়টি ইউনিয়নে একটি করে মোট ৯টি বিট অফিস চালু করে সকল অপরাধমুলক কর্মকান্ড বন্ধে কার্যক্রম চালানো হবে। এছাড়া যাচাই বাচাই করে মাদককারবারীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়ীতে নিশানা টানিয়ে দেয়া হবে। মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধেও নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। পুলিশের এ কার্যক্রম জনসাধারণকে জানান দিতে মাসব্যাপী চালানো হবে মাইকিং প্রচারণা ও উঠান বৈঠক। একই সাথে চলমান থাকবে মাদক বিরোধী পুলিশি অভিযানও।
‘মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন মোংলা’র আহবায়ক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ মাদক নির্মুলে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা ধরণের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে তাদের সেই কার্যক্রম তেমন সফলতা বয়ে আনতে পানেনি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নতুন উদ্যোগ মাদক নির্মুলে শতভাগ কার্যকর হবে।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক নির্মুলে মাইকিং আর উঠান বৈঠক শুরু হওয়ার আশার আলো দেখছেন মোংলার সচেতন নাগরিকেরা। বাংলাভিশন টেলিভিশনের রিপোর্টার এবং মোংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন মোংলা শাখার আহবায়ক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, সমুদ্র বন্দর হওয়ার সুবাদে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে বিদেশি ব্র্যান্ডের মাদক পাওয়ার সহজ লভ্যতায় উঠতি বয়সের যুবকেরা নেশায় জড়িয়ে পড়েছেন। এছাড়া এক শ্রেণীর যুবক অতি মুনাফার লোভে ইয়াবা, মদ-গাজাসহ নানা মাদক বেচা কেনার সাথে জড়িত হচ্ছেন। আর পুলিশের অভিযানে এসকল মাদককারবারী ও সেবনকারীরা ধরাও পড়ছেন। মাদক নির্মুলে পুলিশের নেয়া নতুন এ উদ্যোগ কার্যকর হলে মাদকমুক্ত মোংলা গড়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন এ সাংবাদিক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মাদকের বিরুদ্দে মংলায় থানা পুলিশের কঠোর হুশিয়ারি বার্তা।

Update Time : ০২:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০

মোংলা প্রতিনিধি:
হয় মাদক ছারুন নতুবা মোংলা ছারুন এমন হুশিয়ারি বার্তা দিচ্ছে মোংলা থানা পুলিশ।মাদকে সম্পূর্নরূপে নির্মুল করতে মোংলা থানা পুলিশের ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহন করেছে।চিহ্নিত মাদক সেবনকারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে এবং মাদক কারবারীদের ব্যবসা বন্ধে মোংলা পৌর এলাকা সহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচারণা শুরু করেছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত চলছে পুলিশের মাদক বিরোধী এলাকা ভিত্তিক উঠান বৈঠক ও সচেতনতামুলক কর্মকান্ড। বৃহস্পতিবার দিনভর এবং গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের একাধিক টিক ভ্যান গাড়ীতে মাইক লাগিয়ে মাদকাসক্তদের নেশা দ্রব্য সেবন আর মাদককারবারীদের মাদকের ব্যবসা বন্ধে পুলিশের প্রচারণা ও সতর্ক বার্তা প্রচার করতে দেখা গেছে। এ সময় প্রচারণা সতর্ক বার্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হয় মাদক ছারুন নয় মোংলা ছাড়ুন। মাদক সেবন বিক্রয় করা যাবে না।  মাদক সেবন পরিহার কোরতে সব রকম সহযোগিতা আমরা করবো। মাদক সেবন ও বিক্রয়কারীদের তালিকা আমাদের কাছে আছে।
এ ব্যাপারে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, মোংলাসহ পুরো বাগেরহাট জেলাকে মাদক মুক্ত করতে জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়ের পক্ষ থেকে প্রতিটি থানায় কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে মোংলা থানা পুলিশও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডকে তিন ভাগে ভাগ করে তিনটি আর ছয়টি ইউনিয়নে একটি করে মোট ৯টি বিট অফিস চালু করে সকল অপরাধমুলক কর্মকান্ড বন্ধে কার্যক্রম চালানো হবে। এছাড়া যাচাই বাচাই করে মাদককারবারীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়ীতে নিশানা টানিয়ে দেয়া হবে। মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধেও নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। পুলিশের এ কার্যক্রম জনসাধারণকে জানান দিতে মাসব্যাপী চালানো হবে মাইকিং প্রচারণা ও উঠান বৈঠক। একই সাথে চলমান থাকবে মাদক বিরোধী পুলিশি অভিযানও।
‘মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন মোংলা’র আহবায়ক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ মাদক নির্মুলে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা ধরণের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে তাদের সেই কার্যক্রম তেমন সফলতা বয়ে আনতে পানেনি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নতুন উদ্যোগ মাদক নির্মুলে শতভাগ কার্যকর হবে।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক নির্মুলে মাইকিং আর উঠান বৈঠক শুরু হওয়ার আশার আলো দেখছেন মোংলার সচেতন নাগরিকেরা। বাংলাভিশন টেলিভিশনের রিপোর্টার এবং মোংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন মোংলা শাখার আহবায়ক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, সমুদ্র বন্দর হওয়ার সুবাদে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে বিদেশি ব্র্যান্ডের মাদক পাওয়ার সহজ লভ্যতায় উঠতি বয়সের যুবকেরা নেশায় জড়িয়ে পড়েছেন। এছাড়া এক শ্রেণীর যুবক অতি মুনাফার লোভে ইয়াবা, মদ-গাজাসহ নানা মাদক বেচা কেনার সাথে জড়িত হচ্ছেন। আর পুলিশের অভিযানে এসকল মাদককারবারী ও সেবনকারীরা ধরাও পড়ছেন। মাদক নির্মুলে পুলিশের নেয়া নতুন এ উদ্যোগ কার্যকর হলে মাদকমুক্ত মোংলা গড়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন এ সাংবাদিক।