টিপু সুলতান,নন্দীগ্রাম,বগুড়া:                  পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ দিনদিন এগিয়ে আসছে। সেদিকটা লক্ষ্য রেখে মাঠে নেমেছে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচন মানেই অনেক প্রত্যাশা। এমন প্রত্যাশা প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তেমনি প্রত্যাশায় নন্দীগ্রাম পৌরবাসীকে মডেল পৌরসভা উপহার দিতে চায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক একেএম ফজলুল হক কাশেম। তিনি নন্দীগ্রাম শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি। একেএম ফজলুল হক কাশেম ২০১৫ সালে নন্দীগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সম্মানজনক ভোট পেয়েছিলেন।

এবারো তিনি নন্দীগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ছুটে চলছেন ভোটারদের বাড়িবাড়ি। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। ধর্মীয়-সামাজিক কাজে তার ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে। তাই তাকে সমাজসেবক হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণ মানুষের আপদে-বিপদে পাশে থাকেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতেও সাধারন মানুষের পাশে ছিলেন তিনি। একেএম ফজলুল হক কাশেম এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই আমার বড় ইচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য সেবামূলক কাজ করা। যেসব কাজ করলে মৃত্যুর পরেও যেন মানুষ আমাকে স্মরণ করে। আমি সেভাবেই সাধারণ মানুষের সাথে মিলেমিশে আছি এবং থাকবো। অনেকের অনেক ধরণের স্বপ্ন থাকে। আমার স্বপ্ন সাধারণ মানুষের সেবামূলক কাজ করা। তা আল্লাহর রহমতে করেই আসছি। আগামী দিনেও তা করবো। ২০১৫ সালে নন্দীগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করে সম্মানজনক ভোট পেয়েছিলাম। এবারো নন্দীগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করবো। আমি মেয়র পদে নির্বাচিত হলে নন্দীগ্রাম মডেল পৌরসভা উপহার দিবো।

নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ কাজ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা বিশেষ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। পাশাপাশি ধর্মীয়, শিক্ষা, সামাজিক ও হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমি একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত অর্থ ধর্মীয়, শিক্ষা, সামাজিক ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য ব্যয় করে আসছি। মেয়র নির্বাচিত হলে আরো বেশি ব্যয় করতে পারবো। নন্দীগ্রামে ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষার জন্য বগুড়া শহরে অনেকেই অবস্থান করে। আমি নন্দীগ্রামে ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে চাই।  তাহলে এলাকার ছেলে-মেয়েরা নন্দীগ্রাম থেকেই ভালো লেখাপড়া করতে পারবে। এতে নন্দীগ্রাম পৌরবাসী অনেকটা উপকৃত হবে। সেসব লক্ষ্য নিয়েই আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। আশাকরি নন্দীগ্রাম পৌরবাসী তা বিবেচনা করে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আমিও আমার সর্বো প্রচেষ্টা দিয়েই কাজ করবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে