ভোট না দেয়ায় প্রায় সাড়ে ৫ কোটি (পাঁচ কোটি ৪০ লাখ) ভোটারকে পাবলিক প্রসিকিউটরের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি মিসরের নির্বাচন কমিশন এ আদেশ জারি করে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রকাশিত গণমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে মিসরে সিনেট (পার্লামেন্ট) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ৩০০ আসনের এ নির্বাচনে ভোটারদের ২০০ জন প্রার্থী নির্বাচিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু দেশটির প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন। যা দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক। আর মোট ভোটারের ৮৫ শতাংশ।
এ বিষয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান লাসেন ইব্রাহিম বলেন, ‘যে কোনোভাবে এ ভোট বর্জনকারীদের থেকে ৫০০ মিসরীয় পাউন্ড জরিমানা আদায় করতে হবে। নির্বাচনী আইনে এটা পরিষ্কারভাবে বলা আছে।’
তবে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে অনেকেই। দেশটির খ্যাতনামা লেখক জামাল তাহা ফেসবুকে লিখেছেন, ভোটাররা কেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি, সেটা রাজনীতিবিদদের ভাবা উচিত। কারণ তারা দিনকে দিন ভোটের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বলছেন- প্রেসিডেন্ট সিসির ইচ্ছা এবং তার পরিকল্পনা প্রচারই হলো কথা বলার বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা। তার ইচ্ছার বাইরে গিয়ে কিছু বলা অপরাধ।
মূলত, ২০১৪ সাল থেকে মিশরের বর্তমান সরকার নির্বাচনের বৈধতা এবং জনগণের ভোটাধিকারের ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ সংকটে ভুগছে। কারণ ওই বছরই প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নেন সিসি। তার আগে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তিনি।
বৈধ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে নিজের প্রেসিডেন্সি রক্ষা করে চলছেন সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। যা দেশটির জনগণ সহজে মেনে নিতে পারছে না। ভোট বর্জন সেটারই বহিঃপ্রকাশ।