পদ্মা নদীর পানি বাড়ায় লঞ্চঘাটের সিঁড়ি ডুবে আছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। লঞ্চ থেকে নেমে টার্মিনাল পর্যন্ত যেতে যাত্রীদের ওই পানি ভেঙেই পার হতে হচ্ছে।

এদিকে টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ ইট দিয়ে অস্থায়ী সিঁড়ি তৈরি করলেও সেটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরুষরা খুব সতর্কতার সঙ্গে পারাপার হতে পারলেও বিপাকে পড়েছেন নারী ও শিশু যাত্রীরা।

পানি বাড়ায় কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে টার্মিনাল যাওয়ার পথটুকু রয়েছে পানির নিচে। সতর্কভাবে পারাপার হলেও পা পিছলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চলাচলকারী যাত্রীরা।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) কাঁঠালবাড়ী ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে শুরু করে। পদ্মায় স্রোতের তীব্রতা থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা ফেরি ও স্পিডবোট এড়িয়ে লঞ্চেই বেশি পারাপার হচ্ছেন।

এদিকে শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটে নেমে টার্মিনালে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। পন্টুনের পরে পানিতে লঞ্চের সিঁড়ি ডুবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নামতে হচ্ছে। তাছাড়া কাঠের তৈরি পথটুকু বেশ পিচ্ছিলও হয়ে আছে পানি জমে থাকার ফলে।

লঞ্চ থেকে নেমে আসা যাত্রীরা জানান, লঞ্চ থেকে নামার পর টার্মিনালে যেতে পানি জমে আছে। তাছাড়া কাঠের তৈরি সিঁড়ি বেশ পিচ্ছিলও। বেশ সতর্কতার সঙ্গে আস্তে আস্তে পার হতে হয়।

লঞ্চ ঘাট সূত্র জানায়, পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় ঘাটের এ অবস্থা। তারপরও যাত্রীদের সুবিধার জন্য কিছু স্থান উঁচু করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের চূড়ান্ত চাপ এখনো শুরু হয়নি। আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। তাছাড়া ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শিমুলিয়া থেকেই যাত্রীরা বেশি আসছে। ঢাকাগামী যাত্রীদের সংখ্যা কম। ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটের কিছু জায়গা পানিতে ডুবে যাওয়ায় যাত্রীদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে আসা-যাওয়ায়। তবে সতর্ক হয়ে চলাচলের জন্য বলা হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে