Dhaka ০২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • 31

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে বহু প্রতীক্ষিত ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মধ্যরাত থেকে নদীর বিভিন্ন অংশে ডিম সংগ্রহ শুরু করে জেলেরা। এর আগে অন্তত দুই দফা নমুনা ডিম ছেড়েছিল মা মাছ।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, বহুল প্রত্যাশিত হালদা নদীতে রুই জাতীয় মাছ ডিম ছেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় দুইটা থেকে স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ শুরু করে। প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ডিম সংগ্রহ এখনো পর্যন্ত অব্যাহত আছে। আশা করছি, এ বছর ভালো ডিম পাওয়া যাবে।

হালদা গবেষকরা জানান, বছরের এপ্রিল থেকে জুনের যেকোনো সময়ে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, পূর্ণিমা বা অমাবস্যার তিথি বা জো থাকতে হবে। একই সময়ে নদীর স্থানীয় এবং খাগড়াছড়ি, মানিকছড়িসহ নদীর উজানে পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে হবে। ফলে পাহাড়ি ঢল নামবে এবং নদীতে ফেনাসহ পানি প্রবাহিত হবে। ঠিক এই সময়ে পূর্ণ জোয়ার শেষে অথবা পূর্ণ ভাটা শেষে পানি যখন স্থির হয়, তখনই কেবল মা মাছ ডিম ছাড়ে।

কয়েকদিন আগে থেকে হালদা পাড়ের প্রায় ৫ শতাধিক জেলে ডিম সংগ্রহের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় নদীতে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। তাই মা মাছ ডিম ছাড়েননি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে মা মাছ পুরোপুরি ডিম ছাড়ে।

খাগড়াছড়ির জেলার বাটনাতলী পাহাড় হতে নেমে সর্পিল ১০৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হালদা নদী মিলেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে। দেশের একমাত্র জোয়ার-ভাটার রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র এই নদীর সুরক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ

Update Time : ০৪:০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে বহু প্রতীক্ষিত ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মধ্যরাত থেকে নদীর বিভিন্ন অংশে ডিম সংগ্রহ শুরু করে জেলেরা। এর আগে অন্তত দুই দফা নমুনা ডিম ছেড়েছিল মা মাছ।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, বহুল প্রত্যাশিত হালদা নদীতে রুই জাতীয় মাছ ডিম ছেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় দুইটা থেকে স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ শুরু করে। প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ডিম সংগ্রহ এখনো পর্যন্ত অব্যাহত আছে। আশা করছি, এ বছর ভালো ডিম পাওয়া যাবে।

হালদা গবেষকরা জানান, বছরের এপ্রিল থেকে জুনের যেকোনো সময়ে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, পূর্ণিমা বা অমাবস্যার তিথি বা জো থাকতে হবে। একই সময়ে নদীর স্থানীয় এবং খাগড়াছড়ি, মানিকছড়িসহ নদীর উজানে পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে হবে। ফলে পাহাড়ি ঢল নামবে এবং নদীতে ফেনাসহ পানি প্রবাহিত হবে। ঠিক এই সময়ে পূর্ণ জোয়ার শেষে অথবা পূর্ণ ভাটা শেষে পানি যখন স্থির হয়, তখনই কেবল মা মাছ ডিম ছাড়ে।

কয়েকদিন আগে থেকে হালদা পাড়ের প্রায় ৫ শতাধিক জেলে ডিম সংগ্রহের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় নদীতে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। তাই মা মাছ ডিম ছাড়েননি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে মা মাছ পুরোপুরি ডিম ছাড়ে।

খাগড়াছড়ির জেলার বাটনাতলী পাহাড় হতে নেমে সর্পিল ১০৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হালদা নদী মিলেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে। দেশের একমাত্র জোয়ার-ভাটার রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র এই নদীর সুরক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।