ঊর্ধ্বমুখী নমুনা পরীক্ষায় একদিন আগে সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও আবারও বেড়েছে। ফলে ১০ শতাংশের বেশি শনাক্তের হারে আক্রান্ত বেড়ে ৩১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। থেমে নেই প্রাণহানিও। যার সংখ্যা সাড়ে ৫৭ হাজারে ঠেকেছে। তবে, এখন পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশ ভুক্তভোগী সুস্থতা লাভ করেছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ হাজার ৪০৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৩৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই চার রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ)।
অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৮৩৬ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৫৪২ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৯ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ লাখের অধিক।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। আর প্রাণহানিতে চতুর্থ।
এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৮২ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ২৫৩ জন মানুষের।
আক্রান্ত ও প্রাণহানিতে রাজধানী দিল্লিকে টপকানো তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৫১৭ জন। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
তিনে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার সাড়ে ৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮২ জন মানুষের।
দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৬৩৮ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৫৭ হাজার ৪৫৯ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। যা ভারত সরকারকে স্বস্তি দিচ্ছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ১১ হাজারের কাছাকাছি।