Dhaka ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নিউইয়র্কে হাডসন নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, ৩ শিশুসহ নিহত ৬ বিতাড়নে বাধ্য করতে মৃতদের তালিকায় ঢুকছে জীবিত অভিবাসীদের নাম প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত ৫২ হাজার, ৭৭৫ জনের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • ৮৬ Time View

ভারতে প্রথমবারের মতো একদিনে অর্ধলক্ষের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে করে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখের কোটায়। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও সুস্থ সুস্থতা লাভ করেছেন দুই তৃতীয়াংশ ভুক্তভোগী। যার সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ১২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।

অন্যদিকে গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৭৭৫ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৯৬৮ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৭ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।

এদিকে বুধবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৩ জনের। গত ১৩ জুলাই থেকে এ রাজ্যে ১০ দিনের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে।

রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ ১ লাখ গেছে ৩৩ হাজার ৩১০ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।

তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার ১১৪ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৩ হাজার ৭৪১ জনের।

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৫৫৩ জন ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১০ লাখ ২০ হাজার ৬৮২ জন ভুক্তভোগী। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ২৮ হাজার ২৪২ জন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

নিউইয়র্কে হাডসন নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, ৩ শিশুসহ নিহত ৬

ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত ৫২ হাজার, ৭৭৫ জনের মৃত্যু

Update Time : ০৯:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

ভারতে প্রথমবারের মতো একদিনে অর্ধলক্ষের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে করে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখের কোটায়। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও সুস্থ সুস্থতা লাভ করেছেন দুই তৃতীয়াংশ ভুক্তভোগী। যার সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ১২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।

অন্যদিকে গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৭৭৫ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৯৬৮ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৭ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।

এদিকে বুধবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৩ জনের। গত ১৩ জুলাই থেকে এ রাজ্যে ১০ দিনের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে।

রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ ১ লাখ গেছে ৩৩ হাজার ৩১০ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।

তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার ১১৪ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৩ হাজার ৭৪১ জনের।

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৫৫৩ জন ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১০ লাখ ২০ হাজার ৬৮২ জন ভুক্তভোগী। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ২৮ হাজার ২৪২ জন।