আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৯ (প্রায় দেড় লাখ) মানুষকে শনাক্ত করা হয়েছে। যা ভারতে সব শনাক্তের রের্কড ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ।
এর আগে ৮ এপ্রিল শনাক্ত হয়েছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৩ জন।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৩২ লাখ ২৭ হাজার ৮৩ জন শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বে ভারতের অবস্থান তৃতীয়স্থানে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে, একই সময়ে ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৭৩ জন।যেখানে সর্বোচ্চ মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে ২০২০ সালের ১৬ জুন ২ হাজার ৬ জন। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন এক লাখ ৬৪ হাজার ৪৬৭ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে ৩ হাজার ৬৬৭ জন, আক্রান্ত হয়েছে ৮৯ হাজার ৯০ জন। করোনায় সবেচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যু ৯২৯ জন, আক্রান্ত ৮৫ হাজার ৩৫৮জন।
এদিকে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছে ইউরোপের দেশগুলোতে। ইতালিতে একদিনে মৃত্যু ৭১৮, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফ্রান্সে ৩০২, রাশিয়ায় ৪০২, স্পেনে ১৪৯, তুরস্ক ২৫৩, জার্মানিতে ২১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে পোলান্ডে একদিনে ৭৬৮ জন, মেক্সিকোতে ৫৪৮, কলম্বিয়াতে ২৪৯, আর্জেন্টিনায় ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এইসব দেশ ছাড়াও হঠাৎ করে মৃত্যু বেড়েছে ফিলিপিন্সে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪১৬ জন, পেরুতে ৩০৭ জন, ইউক্রেনে ৪১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮ লাখ করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ২৬৮ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।
১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।
১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।