ভারতে টানা অর্ধলক্ষ শনাক্তের রেকর্ড আরও দীর্ঘ হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজার অতিক্রম করেছে। তবে, আক্রান্তদের দুই তৃতীয়াংশই সুস্থতা লাভ করেছেন।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ হাজার ৫৩৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ২৭ হাজার ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই চার রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ)।
অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৮৮৬ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৫৮৫ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৭ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। আর প্রাণহানিতে পঞ্চম।
এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার ছুঁতে চলেছে। মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৭৯২জন মানুষের।
মৃতের সংখ্যায় রাজধানী দিল্লিকে পেছনে ফেলে দুইয়ে উঠে এসেছে তামিলনাড়ু। যেখানে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ৪ হাজার ৫৭১ জনের। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
তিনে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৪ জন। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৩ জন।
দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৫৯ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৭৬৯ জন ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ১০৫ জন ভুক্তভোগী। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৭ হাজার ৩৮৪ জন।