Dhaka ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের জাতীয় আয়ের সঙ্কোচন : নীতি পঙ্গুত্বই এর আসল কারণ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • ৬৮ Time View

সরোজ উপাধ‍্যায়,বিশেষ প্রতিনিধি,উত্তর ২৪ পরগনা:

অতি সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সরকারী প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে ভারতের জাতীয় আয়ের শতকরা ৭.৩ ভাগ হ্রাস পেয়েছে ২০২o- ২o২১ সালে বিশেষত অতিমারীর কারণে তবে অতিমারীর আগে ও ভারতের জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ক্রম হ্রাসমান ছিল ।

১৯৯o এর প্রথম দিক থেকে ২o১৮- ২o১৯ পর্যন্ত ভারতীয় জাতীয় অর্থনীতি গড় বৃদ্ধি ছিল ৭ শতাংশের মতো । গত ৭ বছরে ভারতীয় অর্থনীতির যে হাল তাতে দেখা যাচ্ছে ২o১৬-১৭ সাল থেকে একটি সার্বিক ক্রম হ্রাসমানতা পরিলক্ষিত হচ্ছে ।এই বছরেই মোট অর্থ ব্যবস্থার ৮৬ শতাংশ বিমুদ্রাকরণ করা হয়েছিল ।এরপরেই রাতারাতি ত্রুটিপূর্ণ পণ্য ও পরিষেবা কর কাঠামো চাপিয়ে দেয়া হলো ।ব্যবসা ও শিল্প মহলের বিভিন্ন দিক বুঝতে না পারার ফলে উৎপাদন মার খেলো ।ইতিমধ্যে দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপক মন্দা এসে উপস্থিত হয়ে ব্যাঙ্ক ঋণ প্রবল পরিমাণে অনাদায়ী হয়ে ওঠে ।এরমধ্যে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীর সংখ্যা ও ছিল অনেক।যার ফলে ২o২o সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে নেমে আসে । মাথা পিছু আয় ও ভোগ ব্যয় হ্রাস পেয়েছে ব্যাপক হারে ।

বর্তমানে মাথা পিছু আয়ের নিরিখে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে দিয়েছে ।

এর মধ্যে ভারতের জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি ত হ্রাস পেয়েছে ।উপরন্তু গত ৪২ বছরে ভারতে সর্বোচ্চ বেকারত্ব পৌঁছে গেছে । ২o১২- ১৮ সাল পর্যন্ত ৯o লক্ষ চাকরি হ্রাস পেয়েছে । ২o২o সালে বেকারত্বর হার ছিল ৭ শতাংশ ।অবশ্যই অতিমারীর কারণ বহুলাংশে দায়ী । ভারতের আর্থিক পরিকাঠামোর দুর্বলতা জনিত কারণে এই বেকারত্ব অদূর ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলছে ওয়াকিবহাল মহল । এর সঙ্গে আভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দামের অভূতপূর্ণ মূল্য বৃদ্ধির জন্য মুদ্রা স্ফীতি গভীর তর হয়েছে ।বহু শহরে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১oo টাকা ছাড়িয়েছে । মুদ্রা স্ফীতি হার ৬ শতাংশের ওপরে ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সব ঋণ দান নীতিতেই সুদের হার স্থিতিশীল রাখতে বাধ্য হয়েছে ।তার মধ্যে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার বিশেষ বাড়েনি ।কম কর আদায়ের ফলে রাজকোষ ঘাটতি বেড়েছে ব্যাপক হারে ।অতিরিক্ত সম্পদ খুঁজতে কেন্দ্র সরকারী ক্ষেত্র বিলগ্নীকরণের পথে হাঁটতে চাইছে । এই স্বল্প মেয়াদী ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে না । এ কথা বলা বাহুল্য ।বরং নীতিহীন অপরিমানদর্শী সরকারী সম্পদ বিক্রী করে সরকার সম্পদের স্বাভাবিক মূল্য পাবে কি না যথেষ্ট সন্দেহ আছে ।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কোন পথে বা কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে এ কথা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না ।নীতি পঙ্গুত্ব অর্থনীতিকে আরও বিড়ম্বিত করেছে ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ভারতের জাতীয় আয়ের সঙ্কোচন : নীতি পঙ্গুত্বই এর আসল কারণ

Update Time : ০৫:০৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

সরোজ উপাধ‍্যায়,বিশেষ প্রতিনিধি,উত্তর ২৪ পরগনা:

অতি সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সরকারী প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে ভারতের জাতীয় আয়ের শতকরা ৭.৩ ভাগ হ্রাস পেয়েছে ২০২o- ২o২১ সালে বিশেষত অতিমারীর কারণে তবে অতিমারীর আগে ও ভারতের জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ক্রম হ্রাসমান ছিল ।

১৯৯o এর প্রথম দিক থেকে ২o১৮- ২o১৯ পর্যন্ত ভারতীয় জাতীয় অর্থনীতি গড় বৃদ্ধি ছিল ৭ শতাংশের মতো । গত ৭ বছরে ভারতীয় অর্থনীতির যে হাল তাতে দেখা যাচ্ছে ২o১৬-১৭ সাল থেকে একটি সার্বিক ক্রম হ্রাসমানতা পরিলক্ষিত হচ্ছে ।এই বছরেই মোট অর্থ ব্যবস্থার ৮৬ শতাংশ বিমুদ্রাকরণ করা হয়েছিল ।এরপরেই রাতারাতি ত্রুটিপূর্ণ পণ্য ও পরিষেবা কর কাঠামো চাপিয়ে দেয়া হলো ।ব্যবসা ও শিল্প মহলের বিভিন্ন দিক বুঝতে না পারার ফলে উৎপাদন মার খেলো ।ইতিমধ্যে দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপক মন্দা এসে উপস্থিত হয়ে ব্যাঙ্ক ঋণ প্রবল পরিমাণে অনাদায়ী হয়ে ওঠে ।এরমধ্যে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীর সংখ্যা ও ছিল অনেক।যার ফলে ২o২o সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে নেমে আসে । মাথা পিছু আয় ও ভোগ ব্যয় হ্রাস পেয়েছে ব্যাপক হারে ।

বর্তমানে মাথা পিছু আয়ের নিরিখে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে দিয়েছে ।

এর মধ্যে ভারতের জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি ত হ্রাস পেয়েছে ।উপরন্তু গত ৪২ বছরে ভারতে সর্বোচ্চ বেকারত্ব পৌঁছে গেছে । ২o১২- ১৮ সাল পর্যন্ত ৯o লক্ষ চাকরি হ্রাস পেয়েছে । ২o২o সালে বেকারত্বর হার ছিল ৭ শতাংশ ।অবশ্যই অতিমারীর কারণ বহুলাংশে দায়ী । ভারতের আর্থিক পরিকাঠামোর দুর্বলতা জনিত কারণে এই বেকারত্ব অদূর ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলছে ওয়াকিবহাল মহল । এর সঙ্গে আভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দামের অভূতপূর্ণ মূল্য বৃদ্ধির জন্য মুদ্রা স্ফীতি গভীর তর হয়েছে ।বহু শহরে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১oo টাকা ছাড়িয়েছে । মুদ্রা স্ফীতি হার ৬ শতাংশের ওপরে ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সব ঋণ দান নীতিতেই সুদের হার স্থিতিশীল রাখতে বাধ্য হয়েছে ।তার মধ্যে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার বিশেষ বাড়েনি ।কম কর আদায়ের ফলে রাজকোষ ঘাটতি বেড়েছে ব্যাপক হারে ।অতিরিক্ত সম্পদ খুঁজতে কেন্দ্র সরকারী ক্ষেত্র বিলগ্নীকরণের পথে হাঁটতে চাইছে । এই স্বল্প মেয়াদী ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে না । এ কথা বলা বাহুল্য ।বরং নীতিহীন অপরিমানদর্শী সরকারী সম্পদ বিক্রী করে সরকার সম্পদের স্বাভাবিক মূল্য পাবে কি না যথেষ্ট সন্দেহ আছে ।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কোন পথে বা কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে এ কথা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না ।নীতি পঙ্গুত্ব অর্থনীতিকে আরও বিড়ম্বিত করেছে ।