নিজস্ব সংবাদদাতা:
ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দলিত-বিন্দ-মাহাতো নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।
এই গবেষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ও নেপালে চর্চা শুরু হয়েছে। গবেষককে এই বিষয়ে বক্তৃতা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছিল বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিগমণ্ড ফ্রয়েড হলে বক্তৃতাকালে গবেষক জানিয়েছিলেন তার গবেষণার মধ্যে দিয়ে যদি দলিত বিন্দ সম্প্রদায়ের নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের একটা
আলোর দিশা পাওয়া যায় তবেই তার গবেষণার সার্থকতা। তার মতে কোনও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন চাইলে প্রথমে সেই সমাজের নারীর শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। আর প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর মানুষজনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেই চেষ্টাটাই করছেন। গবেষক আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের কেস স্টাডি গবেষণায় যেভাবে সহযোগিতা দরকার সবটাই তিনি শিক্ষা বিভাগ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সাথে বিশেষ আলোচনায় জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই ভাবেন দলিত মানেই নমঃশূদ্র বা রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ। আসলে ৬০টি ইউ-সম্প্রদায় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের তফসিলি জাতি। শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের পশ্চাৎ মুখী বিন্দ সম্প্রদায় হলো দলিতদের মধ্যেও দলিত। আর এই সম্প্রদায়ের বঞ্চিত নারী সমাজ দলিত বিন্দ সমাজের সব চাইতে দলিত। তিনি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন দলিত সংগঠনের সাথে তার গবেষণার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত শিক্ষা বিভাগের গবেষক প্রদীপ অধিকারী ও তত্ত্বাবধায়ক ড. শান্তি নাথ সরকারের এই সাহসী সিদ্ধান্তকে শিক্ষাবিদরা কুর্নিশ জানিয়েছেন। বিশিষ্ট দলিত লেখক, পশ্চিমবঙ্গ দলিত সাহিত্য আকাদেমি র চেয়ারপার্সন মনোরঞ্জন ব্যাপারী গবেষকের ইনোভেটিভ কর্মপদ্ধতির ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন “গবেষক শুধু থিওরিটিক্যাল গবেষণার মধ্যে না থেকে দলিত সমাজের সংস্কারেও হাত লাগিয়েছেন। যা সাধুবাদ যোগ্য”। ভারতের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও রাজ্যসভার সংসদ জানান “প্রদীপের গবেষণার কথা আমরা জানি। আমরা ওর ডাকে সাড়া দিয়ে বিন্দ সমাজের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। যদিও এই রাজ্যে দলিত সমস্যা তেমন নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তফসিলি সমাজের পাশে সব সময় আছে। শুধু তাই নয়, ভারতের মধ্যে এই বাংলায়তেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী র অনুপ্রেরণায় প্রথম দলিত উপদেষ্টা কাউন্সিল গড়ে তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের দলিত-কেন্দ্রিক প্রকল্পগুলো যাতে বিন্দ সমাজের মানুষ ঠিক-ঠাক পায়, তার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারি, ২০২২-এর দুয়ারে সরকার প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই সমাজের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে”। গবেষকের কথায়, নদিয়া জেলার দক্ষিণ ও শেষ প্রান্তে কল্যাণী শহর সংলগ্ন গঙ্গা নদীর চর বারবার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষার দিকদিয়ে পিছিয়ে থাকা অনগ্রসর দলিত বিন্দ সম্প্রদায়ের বসবাস। কল্যাণী ব্লকের অনার্গত কাঁচরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন তিন গ্রাম চর যদুবাটি, চর যাত্রাসিদ্ধি ও চর জাজিরা গ্রামের সবাই তফসিলি জাতিভুক্ত বিন্দ সম্প্রদায়ের মানুষ। এই তিন গ্রামের বর্তমান মোট জনসংখ্যা ৬০০৭ জন। ২০১১ সালের জনগণনার হিসেবে এই সংখ্যা ছিল ৫৩১৩ জন। চরে গড়ে ওঠার কারণেই গ্রাম গুলোর নামের সাথেও চর কথাটি সংযুক্ত। এক সময় কাঁচরাপাড়া ইউনিয়ান বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত ছিল চর যদুবাটি গ্রাম অপরদিকে বর্ধমানের অধীন ও আরও পরবর্তী সময় হুগলীর অন্তর্গত ছিল চর যাত্রাসিদ্ধি ও চর জাজিরা গ্রাম। এই তিন গ্রামের দলিত বিন্দ অধিবাসীর আদি বাস বিন্ধ্য পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চল। কথিত আছে বিন্দদের আদিবাস বিন্ধ্য পর্বত থেকেই বিন্দ বা বিন নামের উৎপত্তি। ১৭৭০ সালের মন্বন্তরের সময় নিজ বাসভূমি ছেড়ে দলিত বিন্দ সমাজের মানুষ কাজের সন্ধানে খানিকটা অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হয়েই বর্তমান কল্যাণী সংলগ্ন গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করে। নদী বাক পরিবর্তন করলে গ্রামগুলি গঙ্গা নদীর পূর্ব তীরে চলে আসে। ভারতে এই বিন্দ সম্প্রদায় খার বিন্দ, জেঠ বিন্দ, ভাটিয়া বিন্দ, নুন বিন্দ, আহীর বিন্দ, গোয়াল বিন্দ, মালতি বিন্দ, কেওটা বিন্দ, সারওয়াল বিন্দ ইত্যাদি উপসম্প্রদয়ে বিভক্ত। এই সম্প্রদায়ের মাতৃ ভাষা ভোজপুরি এবং বিন্দদের জন্য গড়ে ওঠা চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র চর যদুবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মাধ্যম হিন্দি, বাকি তিনটি স্কুলে শিক্ষার মাধ্যম বাংলা। যে কারনে শিক্ষায় ভাষাগত একটা সমস্যা সব সময়েই থেকে যায়। তাছাড়া প্রাথমিকে পাঠ শেষ করে হিন্দি মাধ্যেমে পড়া ১০বছর বা ১১ বছরের বিন্দ শিশুকে শিক্ষার জন্য ছুটতে হয় প্রায় ১৫ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ, প্রথমে বাড়ি থেকে কল্যাণী সীমান্ত স্টেশন, তারপর ট্রেন থেকে কাঁচরাপাড়া স্টেশনে নেমে বেশ কিছুটা হেঁটে গান্ধীমোর থেকে বাস ধরে কাঁচরাপাড়া জনতা হাই স্কুলে পৌঁছানো। সবটাই করতে হয় বিন্দ-শিশুর নিজেদেরকেই। কারণ ভোর হওয়ার আগেই মা বেড়িয়ে যান কাজে। গঙ্গার ওপরে যাওয়া আসার সুবিধার জন্য কোনও কোনও মহিলা দু-তিন জন একসাথে ঘর ভাড়া করেই থাকেন। সপ্তাহে দু একদিন বাড়ি ফেরা, কখনও কখনও সে সুযোগটুকু থাকে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিন্দ মহিলা ব্যবসায়ীর কথায় ভোর তিনটার সময় আমি বাড়ি থেকে বেড় হই। চাকদহ স্থান থেকে মাল কিনে ব্যান্ডেল ষ্টেশন সংঙ্গলগ্ন বাজারে বিক্রি করি। দুপুরে চা খাই। বিকেলের দিকে ভাত খেয়ে আবার দোকানে বসা। কাজ শেষ হলে রাত্রে ঘরে ফেরা। ছেলে-মেয়েদের পারবো কি করে। বিন্দ সমাজের বেশীরভাগ মানুষ মাঠে শ্রমিক হিসাবে কাজ করে দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করেন। বেশীরভাগ দিনই কাজ থাকে না। এইরকম পিছিয়ে পড়া মানুষের সাথে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক প্রদীপ অধিকারী প্রথম পরিচয় হয় অধ্যাপিকা ও প্রাক্তন ডিন ড. শুভলক্ষ্ণী নন্দীর তত্ত্বাবধানে ‘কাঁচরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন চর যদুবাটি গ্রাম – একটি কেস স্টাডি’ গবেষণার মাধ্যমে। সেই থেকেই গবেষক অধিকারী বিন্দ সমাজের আপন মানুষ হয়ে ওঠেন। এই সমাজের মানুষের সামাজিক ও শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়নমূলক প্রায় বিষয়েই ভাবনা শুরু হয় এবং বিভিন্ন কারণে পৌঁছে যেতেন বিন্দ মানুষের কাছে। বিন্দ মানুষের জন্য কাজ করার সব চাইতে বড় সুযোগ আছে ২০১৮ সালে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের অধীন ড. শান্তি নাথ সরকারের তত্ত্বাবধানে “এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট অফ ওমেন ইন দলিত-বিন্দ কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল: এ কেস স্টাডি” নামক গবেষণার মাধ্যমে। এবার আরও বেশী করে গাঙ্গেয় অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মিশ্র সামাজিক ভাষা গোষ্ঠী বিন্দ মানুষের সাথে মিশে থাকার সুযোগ এলো। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, আমার কল্যাণী সামাজিক সংগঠন ও কল্যাণী ১ নং ওয়ার্ড সার্বিক ভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলো। গড়ে উঠলো বিন্দ উন্নয়নমুলক টিম। বিভিন্ন সময় সুযোগ ও অর্থ পেলেই পৌঁছে যাওয়া চলল এই মানুষগুলোর কাছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এই তিন গ্রামের স্বাক্ষরতার হার মাত্র ৩৬.৩৪ শতাংশ। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে বিন্দ সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো যে কোনও মূল্যে স্বাক্ষরতার হার বাড়াতে হবে ৫০ শতাংশে। টার্গেট ২০২০। সেই মতোই প্রস্তুতি শুরু হলো। ২০১৮ সালের ১ মে উদ্বোধন হলো ‘নাইট স্কুল ফর দলিত বিন্দ ওমেন’ এবং ‘ভ্রাম্যমাণ স্কুল ফর দলিত বিন্দ চাইল্ড’। এরপর ১ জানুয়ারি, ২০১৯ সে চর যদুবাটি গ্রামে কল্যাণী শহরের সহযোগিতায় ‘আমার শৈশব, আমার অধিকার ক্যাম্পেইন’, ডিসেম্বর ২০১৯ সে সাত দিন ব্যাপী ‘উইন্টার ক্যাম্প ফর ড্রপ আউট বিন্দ গার্ল স্টুডেন্টস’, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ‘মেয়ের হতে মায়ের শিক্ষা’ নামক ক্ষুদ্র প্রকল্প। এই প্রকল্পে তিন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠরত শিক্ষার্থীদের হাতে খাতা ও পেন দিয়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয় তাদের মায়েদের শুধুমাত্র নাম সহি শেখানোর জন্য। কিছুটা সাফল্য এলেও করোনা ও লক ডাউনের কারণে টার্গেট ২০২০ ধাক্কা খায়। এরপর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের সমস্ত অধ্যাপক, গবেষক, শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় কল্যাণী লাগোয়া গ্রাম গুলোর দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাদ যায়নি বিন্দ সমাজ অধ্যুষিত গ্রামগুলিও। সেখানে লক ডাউনের শুরুতেই পৌঁছে দেওয়া হয় খাদ্যশস্য, শুকনো খাবার ও পশুখাদ্য। ১২ এপ্রিল ২০২০ তে শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগিতায় চর জাজিরায় ‘মাস্ক মেকিং ট্রেনিং’- এর ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় জানুয়ারি ১৮, ২০২১ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১ পর্যন্ত এক মাস ব্যাপী বিন্দ যুবক যুবতীদের চাকরি মুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যার উদ্বোধন করেন কল্যাণী থানার তৎকালীন আই.সি. মলয় মজুমদার। উপকৃত হয় ৩৫ জন বিন্দ যুবক যুবতী। ২১ মে ২০২১ থেকে ২০ জুন, ২০২১ বিন্দ মহিলাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় কর্ম মুখী প্রশিক্ষণ ‘মাশরুম কাল কল্টিভেসান ট্রেনিং’।শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় করোনাকলেও ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ এর গণনা অনুসারে বর্তমান স্বাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৪০.৫১ শতাংশ।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগিতায় “এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট অফ ওমেন ইন দলিত-বিন্দ কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল: এ কেস স্টাডি” নামক গবেষণার অংশ হিসাবে ২০১৮ সালের ১ মে দলিত বিন্দ সমাজের শিশু শিক্ষার উন্নয়নের জন্য উদ্বোধন হয়েছিলো ভ্রাম্যমাণ স্কুল। অতিমারি ও লকডাউনের সময়েও সরকারি অনুমতি নিয়ে মাঝে মাঝেই গবেষক প্রদীপ অধিকারী ও তার সহযোগী টিম পৌঁছে যেত শিক্ষা ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অনগ্রসর বিন্দ সম্প্রদায়ের কাছে। গত ২৩ তারিখে এই ভ্রাম্যমাণ স্কুলের উদ্যোগেই যদুবাটি গ্রামে গুড টাচ্ ব্যাড টাচ্ সম্পর্কিত বিশেষ আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়। ভ্রাম্যমাণ স্কুলের কর্ম পদ্ধতি সম্পর্কে গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ড. শান্তি নাথ সরকার জানান “করোনা অতিমারির আগে পর্যন্ত দীপিকা মন্ডল, দুলাল অধিকারী, দীপঙ্কর মন্ডল, সজল মন্ডল, পঙ্কজ রায়, সুব্রত বাড়ৈ, গৌরঙ্গ বিশ্বাস, ঝুমা মন্ডল, দীপঙ্কর অধিকারী, রতন রায় বিরুভাই সহ আরও বহু শিক্ষাদরদী সমাজসেবীদের নিয়ে একটি বিশেষ টিম করে গবেষক প্রদীপ অধিকারীর নেতৃত্বে দলিত বিন্দ অধ্যুষিত পিছিয়ে পরা গাঙ্গেও গ্রাম গুলোতে ঘুরে ঘুরে ছোট ছেলে মেয়েদের একসাথে জড়ো করে পড়ানোর ব্যবস্থা হত। আজ এই গ্রামে তো কাল ওই গ্রামে। লক ডাউনের কারনে যদিও বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয়েছিলো ভ্রাম্যমাণ স্কুল তার জায়গায় চর যাত্রাসিদ্ধি গ্রাম ও বিরুভাই এর সহায়তায় চালানো হয় সান্ধ্যকালীন পাঠশালা, যেটি এখনও চলমান। আর এই পাঠশালার বর্তমান শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ১৫০। ড. সরকার জানান এই গবেষণার অধীনে প্রবীণ মহিলাদের জন্য নাইট স্কুল ও বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এক মাস ব্যাপী চাকরি মুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছিলো।