ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, দেশে ছড়িয়ে পড়া নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
ব্রিটেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া এই প্রজাতির ব্যাপারে তিনি জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিধিগুলো কঠোরভাবে মনে চলে।
প্রজাতির করোনাভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল বলে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মারাত্মক। ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু না করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই কঠিন হবে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেন গত সপ্তাহ থেকে সেদেশের নাগরিকদের করোনাভাইরাসে টিকা দেয়া শুরু করার পর নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের খবর পাওয়া গেল। তবে টিকা দেয়ার সঙ্গে নতুন প্রজাতির আবির্ভাবের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
এর আগে নতুন সব বিধিনিষেধের কথা জানিয়ে শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছিলেন, নতুন প্রজাতিটি যে খুব বেশি প্রাণনাশী বা ভ্যাকসিনের সঙ্গে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটা আরো ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
এদিকে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি দেখা দেয়ার পর তার বিস্তার ঠেকাতে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ব্রিটেনে ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে। এরই মধ্যে দেশটি থেকে ফ্লাইট বাতিল করেছে বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস। বেলজিয়ামগামী ট্রেনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবছে জার্মানি এবং ফ্রান্সও।
নতুন প্রজাতির এই করোনাভাইরাসটি মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে। নতুন প্রজাতি নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একই প্রজাতির ভাইরাস পাওয়া গেছে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াতেও।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়। তবে চীন সম্প্রতি এই তথ্য অস্বীকার করার চেষ্টা চালিয়েছে।