Dhaka ০৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ আমলের অনেক পুরাতন সুড়ঙ্গের সন্ধান লাভ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৩৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

নতুন করে খোঁজ মিলল অনেক পুরাতন সুড়ঙ্গের। যে সুড়ঙ্গ দিল্লি বিধানসভা থেকে গিয়ে মিলেছে দিল্লির লালকেল্লা পর্যন্ত। এর দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার।

ধারণা করা হচ্ছে সুড়ঙ্গটি তৈরি হয় ব্রিটিশ শাসন আমলে। যা বিট্রিশ জান্তারা ব্যবহার করত সে সময় স্বাধীনতা সংগ্রামী বা স্বদেশী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের শাস্তি দেবার গোপন পথ হিসেবে। ব্রিটিশ শাসনের অন্ধকারছন্ন সেই দিনগুলিতে বিপ্লবীদের জনপথ এড়িয়ে বা গোপনে আনা-নেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছিল এই সুড়ঙ্গ। নতুনভাবে এটি আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রমাণ মিলল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি ব্রিটিশদের অন্যায়-অত্যাচারের চিত্র।

দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রাম নিবাস গোয়েল বলেন, ব্রিটিশরা এই পথ দিয়েই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যাতায়াত করাত, যাতে তারা প্রত্যাঘাত না করতে পারে। আর সাবধানতার জন্যই এই পথ অনুসরণ করা হত।

অনেক মানুষের মুখেই এই সুড়ঙ্গের কথা শোনা যেত, তবে কোথায় এবং কিভাবে এই সুড়ঙ্গ রয়েছে তা এতো দিন কেউই জানত না। হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার এই সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া যায়। এই সুড়ঙ্গই যে সেই সুড়ঙ্গ তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

ব্রিটিশ শাসন সময়ে দিল্লি বিধানসভাকেই প্রধান প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করতো ব্রিটিশরা। এই ভবনে হত আদালতের সব কাজ। বিপ্লবীদের লালকেল্লা হতে ধরে নিয়ে এসে এই আদালতেই করা হত বিচার। আর এর পাশেই ছিল বেশ কয়েকটি ফাঁসির মঞ্চ।

দিল্লি বিধানসভা নতুন করে মেরামত করার সময় হঠাৎ করে আবিষ্কার হয় এই সুড়ঙ্গের। আগামি ২৬ জানুয়ারি সাধারণ জনগনের জন্য উমুক্ত হতে পারে সুড়ঙ্গটি। এমনটি জানিয়েছেন দিল্লি বিধানসভার স্পিকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ব্রিটিশ আমলের অনেক পুরাতন সুড়ঙ্গের সন্ধান লাভ

Update Time : ০৫:১৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

নতুন করে খোঁজ মিলল অনেক পুরাতন সুড়ঙ্গের। যে সুড়ঙ্গ দিল্লি বিধানসভা থেকে গিয়ে মিলেছে দিল্লির লালকেল্লা পর্যন্ত। এর দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার।

ধারণা করা হচ্ছে সুড়ঙ্গটি তৈরি হয় ব্রিটিশ শাসন আমলে। যা বিট্রিশ জান্তারা ব্যবহার করত সে সময় স্বাধীনতা সংগ্রামী বা স্বদেশী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের শাস্তি দেবার গোপন পথ হিসেবে। ব্রিটিশ শাসনের অন্ধকারছন্ন সেই দিনগুলিতে বিপ্লবীদের জনপথ এড়িয়ে বা গোপনে আনা-নেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছিল এই সুড়ঙ্গ। নতুনভাবে এটি আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রমাণ মিলল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি ব্রিটিশদের অন্যায়-অত্যাচারের চিত্র।

দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রাম নিবাস গোয়েল বলেন, ব্রিটিশরা এই পথ দিয়েই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যাতায়াত করাত, যাতে তারা প্রত্যাঘাত না করতে পারে। আর সাবধানতার জন্যই এই পথ অনুসরণ করা হত।

অনেক মানুষের মুখেই এই সুড়ঙ্গের কথা শোনা যেত, তবে কোথায় এবং কিভাবে এই সুড়ঙ্গ রয়েছে তা এতো দিন কেউই জানত না। হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার এই সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া যায়। এই সুড়ঙ্গই যে সেই সুড়ঙ্গ তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

ব্রিটিশ শাসন সময়ে দিল্লি বিধানসভাকেই প্রধান প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করতো ব্রিটিশরা। এই ভবনে হত আদালতের সব কাজ। বিপ্লবীদের লালকেল্লা হতে ধরে নিয়ে এসে এই আদালতেই করা হত বিচার। আর এর পাশেই ছিল বেশ কয়েকটি ফাঁসির মঞ্চ।

দিল্লি বিধানসভা নতুন করে মেরামত করার সময় হঠাৎ করে আবিষ্কার হয় এই সুড়ঙ্গের। আগামি ২৬ জানুয়ারি সাধারণ জনগনের জন্য উমুক্ত হতে পারে সুড়ঙ্গটি। এমনটি জানিয়েছেন দিল্লি বিধানসভার স্পিকার।