Dhaka ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন হাওর ইজারা বন্ধ করতে হবে: ফরিদা আখতার ‘ওয়ারেন্টি দিচ্ছি, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বাঁচবে’ ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ

ব্রাজিলে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০
  • ১০৬ Time View

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে বেড়েই চলেছে প্রাণহানি। ইতিমধ্যে সেখানে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটিতে। এর মধ্যে গত একদিনেই প্রায় হাজার ভুক্তভোগীর প্রাণ ঝরেছে। থেমেই নেই সংক্রমণও। যার সংখ্যা সাড়ে ৩৮ লাখ ছুঁতে চলেছে। তবে, বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা। ফলে, আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ লাখই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। 

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ সময় আজ রবিবার সকালে বলা হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৩৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৯০৪ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯৮ জনে ঠেকেছে।

অপরদিকে, সুস্থতা লাভ করেছেন আরও ৩০ হাজারের অধিক ভুক্তভোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা পৌনে ৩০ লাখ ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক জনের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির দাপট অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।

এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় পেরু, চিলি ও কলম্বিয়ার মতো দেশগুলোর প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

এর মধ্যে পেরুতে আক্রান্ত ৬ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। যেখানে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬০৭ জনে ঠেকেছে।

কলম্বিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৬৪ জনের।

চিলিতে সংক্রমিত ৪ লাখ ৮ হাজারের অধিক। এর মধ্যে ১১ হাজার ১৮১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

আর্জেন্টিনায় সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখ ১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৩৫৩ জনের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন

ব্রাজিলে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার

Update Time : ০২:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে বেড়েই চলেছে প্রাণহানি। ইতিমধ্যে সেখানে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটিতে। এর মধ্যে গত একদিনেই প্রায় হাজার ভুক্তভোগীর প্রাণ ঝরেছে। থেমেই নেই সংক্রমণও। যার সংখ্যা সাড়ে ৩৮ লাখ ছুঁতে চলেছে। তবে, বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা। ফলে, আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ লাখই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। 

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ সময় আজ রবিবার সকালে বলা হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৩৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৯০৪ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯৮ জনে ঠেকেছে।

অপরদিকে, সুস্থতা লাভ করেছেন আরও ৩০ হাজারের অধিক ভুক্তভোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা পৌনে ৩০ লাখ ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক জনের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির দাপট অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।

এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় পেরু, চিলি ও কলম্বিয়ার মতো দেশগুলোর প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

এর মধ্যে পেরুতে আক্রান্ত ৬ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। যেখানে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬০৭ জনে ঠেকেছে।

কলম্বিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৬৪ জনের।

চিলিতে সংক্রমিত ৪ লাখ ৮ হাজারের অধিক। এর মধ্যে ১১ হাজার ১৮১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

আর্জেন্টিনায় সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখ ১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৩৫৩ জনের।