টানা চার ম্যাচে পরাজয়। দিল্লি ক্যাপিটালস যেন জিততেই ভুলে গিয়েছিল। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটা হয়ে দাঁড়িয়েছি অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই। প্লে-অফে যেতে হলে জিততেই হবে। হারলে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে জয়ের ধারায় ফিরলো স্রেয়াশ আয়ারের দল। আবু ধাবির শেখ জায়েদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ রানারআপ হিসেবেই শেষ চার নিশ্চিত করলো দিল্লি ক্যাপিটালস।
তবে, দিল্লির কাছে হেরে গেলেও শেষ চার তথা প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুরও। কারণ, রানরেটে তারা কলকাতা নাইট রাইডার্সের চেয়ে বেশ এগিয়ে।
মঙ্গলবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে সানরাইজার্স হেরে গেলে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফ খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর যদি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জিততে পারে, তাহলে তারা চলে আসবে তিন নম্বরে। বিদায় নেবে কলকাতা। বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু চলে যাবে চার নম্বরে।
১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানারআপ হওয়া নিশ্চিত হলো দিল্লি ক্যাপিটালসের। তৃতীয় দল হিসেবে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত হলো ব্যাঙ্গালুরুরও। তাদের রান রেট -০.১৭২। কেকেআরেরও পয়েন্ট ১৪। তবে তাদের রানরেট -০.২১৪। শেষ ম্যাচে কেকেআরের সমর্থকদের হায়দরাবাদের পরাজয় কামনা করাছাড়া কোনো উপায় নেই। ১৩ ম্যাচে হায়দরাবাদের পয়েন্ট ১২। রান রেট ০.৫৫৫।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরা। দেবদুত পাড্ডিকালের হাফ সেঞ্চুরি, এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৩৫ রান সত্বেও ৭ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান সংগ্রহ করে ব্যাঙ্গালুরু।
জবাব দিতে নেমে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান এবং আজিঙ্কা রাহানের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় তুলে নেয় দিল্লি। ৪১ বলে ৫৪ রান করে আউট হন শিখর ধাওয়ান। ৪৬ বলে ৬০ রান করে ফিরে যান আজিঙ্কা রাহানে। শেষ মুহূর্তে রিশাভ পান্ত ৭ বলে ৮ এবং মার্কাস স্টোইনিজ ৫ বলে ১০ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।