Dhaka ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃটেনে পুলিশ সদস্যের হাতে এক নারী খুন হওয়ার জেরে উত্তাল গোটা লন্ডন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
  • ৭৩ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বৃটেনে এক পুলিশ সদস্যের হাতে সারাহ এভারার্ড নামে এক নারী খুন হওয়ার জেরে রোববারও (১৪ মার্চ) বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা লন্ডন।

বিক্ষোভে পুলিশি বাধার নিন্দা জানিয়ে পুলিশপ্রধানের পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। তবে করোনাকালীন লকডাউনে এই জনসমাবেশকে বেআইনি উল্লেখ করে পুলিশি কর্মকাণ্ডের পক্ষেই অবস্থান নেন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিদা ডিক।

এদিন পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভে অবস্থান নেন কয়েকশ’ নারী। তারা পুলিশের হাতে নিহত সারা এভারার্ডের হত্যার বিচারের দাবি জানান। একইসঙ্গে লন্ডন পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদও জানান তারা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, লন্ডনের মতো শহরেও রাতের বেলা নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্রিটিশ পুলিশ। এছাড়া শনিবার নারীদের বিক্ষোভে পুলিশি হামলা আর ধরপাকড়ের ঘটনারও নিন্দা জানান আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় নিউ স্কটল্যান্ডেও।

একইদিন লন্ডনের পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান টাওয়ার হ্যামলেটের মেয়র সাদিক খানসহ দেশটির সরকারি ও বিরোধী দলের নেতারাও।

কিন্তু করোনার সংক্রমণ রোধে পুলিশের নেয়া পদক্ষেপ আইনবহির্ভূত ছিল না বলেই দাবি করে নিজ দলের সদস্যদের পক্ষে সাফাই গাইলেন লন্ডনের পুলিশ কমিশনার। বিক্ষোভকারীরা তার পদত্যাগের দাবি তুললেও তা নাকচ করে দিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি বলেন, একজন নারী হিসেবে আন্দোলনকারীদের অনুভূতি আমি বুঝতে পারছি। যদি করোনার কারণে এ ধরনের জমায়েত আইনবহির্ভূত না হতো, তাহলে ওই শোকসভায় আমিও হয়তো যেতাম শ্রদ্ধা জানাতে।

আন্দোলনকারী নারীদের বক্তব্য তুলে ধরে ক্রেসিদা ডিক আরও বলেন, তারা রাতের আধারে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন না। তাদের দাবি বিবেচনায় নেয়া হোক সেটা আমিও চাই। কিন্তু শনিবার লকডাউন উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা যে বিশাল জমায়েত করেছিল, তা হটাতে পুলিশ নিজেদের দায়িত্বই পালন করেছেন বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে গত ৩ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন ৩৩ বছর বয়সী সারাহ এভারার্ড। তাকে সর্বশেষ দক্ষিণ লন্ডনের ক্লেপহাম কমনে দেখা গিয়েছিল। পুলিশ গত বুধবার তল্লাশি চালিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডন থেকে ৫০ মাইল দূরে উডল্যান্ড থেকে সারাহ এভারার্ডের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে  ওই নারীকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে লন্ডনের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

সূত্র- রয়টার্স।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বৃটেনে পুলিশ সদস্যের হাতে এক নারী খুন হওয়ার জেরে উত্তাল গোটা লন্ডন

Update Time : ০৯:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বৃটেনে এক পুলিশ সদস্যের হাতে সারাহ এভারার্ড নামে এক নারী খুন হওয়ার জেরে রোববারও (১৪ মার্চ) বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা লন্ডন।

বিক্ষোভে পুলিশি বাধার নিন্দা জানিয়ে পুলিশপ্রধানের পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। তবে করোনাকালীন লকডাউনে এই জনসমাবেশকে বেআইনি উল্লেখ করে পুলিশি কর্মকাণ্ডের পক্ষেই অবস্থান নেন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিদা ডিক।

এদিন পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভে অবস্থান নেন কয়েকশ’ নারী। তারা পুলিশের হাতে নিহত সারা এভারার্ডের হত্যার বিচারের দাবি জানান। একইসঙ্গে লন্ডন পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদও জানান তারা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, লন্ডনের মতো শহরেও রাতের বেলা নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্রিটিশ পুলিশ। এছাড়া শনিবার নারীদের বিক্ষোভে পুলিশি হামলা আর ধরপাকড়ের ঘটনারও নিন্দা জানান আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় নিউ স্কটল্যান্ডেও।

একইদিন লন্ডনের পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান টাওয়ার হ্যামলেটের মেয়র সাদিক খানসহ দেশটির সরকারি ও বিরোধী দলের নেতারাও।

কিন্তু করোনার সংক্রমণ রোধে পুলিশের নেয়া পদক্ষেপ আইনবহির্ভূত ছিল না বলেই দাবি করে নিজ দলের সদস্যদের পক্ষে সাফাই গাইলেন লন্ডনের পুলিশ কমিশনার। বিক্ষোভকারীরা তার পদত্যাগের দাবি তুললেও তা নাকচ করে দিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি বলেন, একজন নারী হিসেবে আন্দোলনকারীদের অনুভূতি আমি বুঝতে পারছি। যদি করোনার কারণে এ ধরনের জমায়েত আইনবহির্ভূত না হতো, তাহলে ওই শোকসভায় আমিও হয়তো যেতাম শ্রদ্ধা জানাতে।

আন্দোলনকারী নারীদের বক্তব্য তুলে ধরে ক্রেসিদা ডিক আরও বলেন, তারা রাতের আধারে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন না। তাদের দাবি বিবেচনায় নেয়া হোক সেটা আমিও চাই। কিন্তু শনিবার লকডাউন উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা যে বিশাল জমায়েত করেছিল, তা হটাতে পুলিশ নিজেদের দায়িত্বই পালন করেছেন বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে গত ৩ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন ৩৩ বছর বয়সী সারাহ এভারার্ড। তাকে সর্বশেষ দক্ষিণ লন্ডনের ক্লেপহাম কমনে দেখা গিয়েছিল। পুলিশ গত বুধবার তল্লাশি চালিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডন থেকে ৫০ মাইল দূরে উডল্যান্ড থেকে সারাহ এভারার্ডের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে  ওই নারীকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে লন্ডনের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

সূত্র- রয়টার্স।