ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই সাগর থেকে মিঠা পানিতে মা ইলিশগুলো প্রজননের জন্যে আসতে শুরু করেছে। এ প্রজনন মৌসুমে যাতে মা ইলিশ তাদের ডিমগুলো সঠিকভাবে মিঠা পানিতে ভালোভাবে ছাড়তে পারে সেজন্য মৎস্য অধিদপ্তর ও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইতমধ্যে জেলেদের নদীতে ইলিশ শিকার না করতে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা, সচেতনতা সভা, লিফলেট বিতরণ, ব্যানার টাঙ্গিয়ে জনসাধারণ ও জেলেদের সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে।

বুধবার প্রথম দিন মা ইলিশ ধরার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীতে ১ জেলেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে ১০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।

রাজবাড়ী নির্বাহী কর্মতকর্তা এনডিসি মো. ছাইফুল হুদা মৎস্য সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেন। ইলিশগুলো একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে। নদীতে অভিযানে ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, সদর সিনিয়র কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান, সহকারী কর্মকর্তা সাইদ আহম্মেদ ও সদর থানার পুলিশ ফোর্স এ অভিযানে অংশ নেয়।

এই ২২ দিন যাতে জেলেরা নদী না নামে সে কারণে তাদের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। মৎস্য ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পরবর্তিতে তাদের ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। ইতমধ্যে জেলেদের মাছ ধরার নৌকাগুলো মৎস্য দপ্তরের কাছে রাখা হয়েছে। মৎস্য কর্তৃপক্ষ নদীর বিভিন্ন স্থানে সেগুলোকে তাদের তত্বাবধানে নদীর পাড়ে রেখেছেন।

তবে মৎস্য দপ্তর ও জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মা ইলিশের এই প্রজনন মৌসুমে যদি কোন জেলে নদীতে মাছ ধরতে নামে তাহলে তাদের আইনের আওতায় এনে জেল দেওয়ার বিধান রেখেছেন। কারণ ইলিশের প্রজনন বাড়াতে সরকার নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এই ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ রক্ষায় সব ধরনের অভিযানে নদীতে মৎস্য দপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন পুলিশ বাহিনী, কোষ্ট গার্ড, ২০ আনছার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নদীতে সার্বক্ষণিক টহলে থাকবেন বলে জানান কতৃপক্ষ। রাজবাড়ীতে ইলিশ মাছ ধরার সাথে ৪৭০০ জেলে নিয়োজিত রয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে