রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি ও গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে এগিয়ে আসতে বীমাসংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ জনগণই বীমাশিল্পের প্রাণ। তাই গ্রাহকের চাহিদা ও সন্তুষ্টিকে বিবেচনায় রেখে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। গ্রাহকের বীমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিসমূহ প্রতিপালন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি ও গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে এগিয়ে আসতে আমি বীমাসংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামীকাল (১ মার্চ) ‘জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ রোববার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই আহবান জানান। এবারের জাতীয় বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’।
বাংলাদেশের বীমাশিল্পের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনা আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে যে, প্রকৃতির কাছে মানুষ কতটা অসহায়। কিন্তু সকল প্রতিকূলতা ও বিপদে আর্থিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।’
‘জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষ্যে বীমা প্রতিষ্ঠান, গ্রাহকসাধারণসহ বীমাশিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডে যোগদানের মাধ্যমে বীমাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। সরকার এ দিনটি স্মরণে প্রতিবছর ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাই এবারের বীমা দিবসে ‘বঙ্গবন্ধু বীমা মেলা’র আয়োজন অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি শোষণমুক্ত, স্বনির্ভর এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের সুবিধার্থে তিনি একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশের সকল বীমা কোম্পানিকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং পরবর্তীতে দুটি কর্পোরেশনে একীভূত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বীমাশিল্প আজ শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং বিভিন্ন শিল্প ও সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট সম্পদের অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
বাণীতে তিনি ‘জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।