বিশ্ব বাবা দিবসে বাবার স্মৃতিতে
মহীতোষ গায়েন
বাবা তুমি,স্কুল শিক্ষকতা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়ে
বাদাবনে শিক্ষার প্রসারে ও সমাজ উন্নয়নে
নিজেকে নিয়োজিত করলে,সম্বল সামান্য
জমি,আপাদমস্তক বামপন্থী,সংসার-সন্ন্যাসী।
আমাদের মা কোনদিন সুখের মুখ দেখেনি
কোথাও যায়নি,ভালো কিছু পরা,খাওয়া হয়নি,
শুধু ছেলে,মেয়ে মানুষ করা,গাছ,ফুল,লতাপাতা
দেখা,উপরতলার ভণ্ডামির আঁচ গায়ে লাগেনি।
বহু মানুষের ভিখিরি অপবাদ ঘোচালেও তোমাকে
মাঝে মাঝে সেই অপবাদ শুনতে হয়েছে নিদারুণ,
সমাজসেবা,জীবনে বাহান্নটি স্কুল প্রতিষ্ঠা তথা শিক্ষা প্রসারে ছুটেছিলে গ্রাম থেকে গ্রাম,শহর,নগর,গঞ্জ।
কোন সরকারি পুরস্কার বা খেতাব পাওনি,শিক্ষার প্রসারের জন্য শুধু এক বেসরকারি সংস্থা দিয়েছে
“সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর পুরস্কার-২০০৩”,অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বা আমলা,নেতারা আসার সময় পাননি।
একাত্তরের নির্বাচনে সিপিআই-এর টিকিটে লড়ে
সিপিএমের কাছে একসহস্র ভোটে হারলে পুরস্কার
তুমি পাবে কী করে?জোর যার মুলুক তার,বছর যায়
বছর আসে,দল যায় দল আসে অধরা থাকে অবদান।
তুমি বড্ড বোকা ছিলে বাবা,মাথা উঁচু ছিল,সততা ছিল
গরীবের দু:খে ব্যথী,মানবিক;দল-লবি করতে বা ধরতে
জানতে না তুমি,তেল দিতে পারতে না,চাষ-জমি,জীবন
শিক্ষা প্রসারে অর্পণ করেও তুমি ঝরাপাতা,বাসি ফুল।