Dhaka ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:

বিশ্বকে ৫ উদ্যোগ নিতে ড. ইউনূসের আহ্বান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২ Time View

এক নিরন্তর ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যতের পথ তৈরি করতে বিশ্বকে ৫ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহাতে ‘আর্থনা সামিটে’ দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

পাঁচটি উদ্যোগ হলো-

১. আমাদের অবশ্যই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রসারিত করতে হবে, যাতে সব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে জীবিকা নির্বাহ এবং অর্থনীতিতে পুরোপুরি অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সরঞ্জাম দিয়ে ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন করা যায়।

২. সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের অবশ্যই সামাজিক ব্যবসাকে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে হবে এবং মুনাফার চেয়ে উদ্দেশ্যকে অগ্রাধিকার দেয়, এমন উদ্যোগকে লালন করতে হবে।

৩. আমাদের অবশ্যই পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসাবে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদের কণ্ঠস্বর শোনার জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে এবং তাদের দক্ষতা এবং সম্ভাবনায় বিনিয়োগ করতে হবে।

৪. আমাদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করতে হবে, এটি স্বীকার করে যে এগুলো টেকসই উন্নয়ন এবং সমস্ত মানবতার কল্যাণের মৌলিক পূর্বশর্ত।

৫. এই কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের নৈতিক বাধ্যবাধকতার কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। উন্নত দেশগুলোকে তাদের ওডিএ প্রতিশ্রুতি বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য শূন্য দশমিক ২ শতাংশ জিএনআই লক্ষ্যমাত্রা, যা শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে রয়ে গেছে সেটি পূরণ করতে হবে। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে বিপর্যয়ের ধারাসহ রেয়াতি শর্তে অর্থায়ন একান্ত জরুরি।

ড. ইউনূস বলেন, আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখযোগ্য। একইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, সহমর্মিতা এবং সমষ্টিগত কর্মপ্রচেষ্টার ক্ষমতাও রয়েছে। কাতার, আর্থনা সামিটের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে দেখিয়েছে কীভাবে একটি জাতি জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কাজের ভবিষ্যৎ মোকাবিলায় উদ্ভাবন, ঐতিহ্য এবং অংশীদারত্বকে কাজে লাগাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি নতুন সামাজিক চুক্তি প্রতিষ্ঠার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক, সবুজ এবং টেকসই পৃথিবী রেখে যেতে হবে। তাদের পেছনে ফেলে আসা উচিত নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বিশ্বকে ৫ উদ্যোগ নিতে ড. ইউনূসের আহ্বান

Update Time : ০৮:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

এক নিরন্তর ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যতের পথ তৈরি করতে বিশ্বকে ৫ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহাতে ‘আর্থনা সামিটে’ দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

পাঁচটি উদ্যোগ হলো-

১. আমাদের অবশ্যই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রসারিত করতে হবে, যাতে সব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে জীবিকা নির্বাহ এবং অর্থনীতিতে পুরোপুরি অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সরঞ্জাম দিয়ে ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন করা যায়।

২. সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের অবশ্যই সামাজিক ব্যবসাকে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে হবে এবং মুনাফার চেয়ে উদ্দেশ্যকে অগ্রাধিকার দেয়, এমন উদ্যোগকে লালন করতে হবে।

৩. আমাদের অবশ্যই পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসাবে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদের কণ্ঠস্বর শোনার জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে এবং তাদের দক্ষতা এবং সম্ভাবনায় বিনিয়োগ করতে হবে।

৪. আমাদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করতে হবে, এটি স্বীকার করে যে এগুলো টেকসই উন্নয়ন এবং সমস্ত মানবতার কল্যাণের মৌলিক পূর্বশর্ত।

৫. এই কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের নৈতিক বাধ্যবাধকতার কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। উন্নত দেশগুলোকে তাদের ওডিএ প্রতিশ্রুতি বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য শূন্য দশমিক ২ শতাংশ জিএনআই লক্ষ্যমাত্রা, যা শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে রয়ে গেছে সেটি পূরণ করতে হবে। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে বিপর্যয়ের ধারাসহ রেয়াতি শর্তে অর্থায়ন একান্ত জরুরি।

ড. ইউনূস বলেন, আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখযোগ্য। একইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, সহমর্মিতা এবং সমষ্টিগত কর্মপ্রচেষ্টার ক্ষমতাও রয়েছে। কাতার, আর্থনা সামিটের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে দেখিয়েছে কীভাবে একটি জাতি জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কাজের ভবিষ্যৎ মোকাবিলায় উদ্ভাবন, ঐতিহ্য এবং অংশীদারত্বকে কাজে লাগাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি নতুন সামাজিক চুক্তি প্রতিষ্ঠার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক, সবুজ এবং টেকসই পৃথিবী রেখে যেতে হবে। তাদের পেছনে ফেলে আসা উচিত নয়।