বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, লেখক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি মারা যান। উনার মেয়ে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুকালে ড. এমাজউদ্দীনের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

দিদার জানান, ‘এমাজউদ্দীন স্যার রাত ২টার দিকে অসুস্থ বোধ করেন। বমি ও পেট খারাপ হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল ৭টা ৩২ মিনিটে মারা যান তিনি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এমাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন জানান, আজ বাদ জুমা রাজধানীর কাঁটাবনে মরহুমের বাসভবন সংলগ্ন বাজমে কাদেরিয়া জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মরহুমকে তার স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।

এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৩৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মালদা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১ নভেম্বর ১৯৯২ থেকে ৩১ আগস্ট ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গবেষণা ও সৃজনশীল লেখার জন্যে তিনি দেশ ও বিদেশে সম্মানিত হয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯২ সালে একুশে পদক পান। বিএনপিপন্থী ‘শত নাগরিক’ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন এমাজউদ্দীন আহমদ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ‘স্যারের মৃত্যুতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করছি। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন স্যার দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করছি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে