বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে অবশেষে কথা বলেছেন নুসরত। আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, নিখিল এবং তার সম্ভাব্য বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’।

তিনি বলেন, ‘এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন! আমার আর নিখিলের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে কোনও কথাই হয়নি।’   

এরআগে খবর বেরিয়েছিল স্বামী নিখিল জৈন নুসরতের কাছে বিবাহবিচ্ছেদ চাইছেন। এ বিষয়ে নিখিল বলেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও কথা বলতে পারছি না। তবে সময় এলেই বলব।’ অর্থাৎ, নিখিল ওই বিষয়ে ‘হ্যাঁ’ যেমন বলেননি, তেমনই সরাসরি ‘না’ও বলেননি। প্রসঙ্গত, নিখিল এখন কলকাতার বাইরে রয়েছেন। শহরে ফিরে ওই বিষয়ে মুখ খুলতে পারেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন।

তবে নুসরত তার সম্ভাব্য বিবাহবিচ্ছেদের খবরকে নস্যাৎ করে দিলেও ওয়াকিবহালরা কয়েকটি বিষয় এড়িয়ে যেতে পারছেন না। প্রথমত, বেশ কিছুদিন ধরে নুসরত-নিখিল একসঙ্গে থাকেন না। এই মুহূর্তে সাংসদ-অভিনেত্রীর ঠিকানা তাঁর বালিগঞ্জের বাড়ি। সেখানে মা, বাবা এবং বোনের সঙ্গেই থাকছেন তিনি। এমনকি, নুসরতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও নিখিল আসেননি। বরং দেখা গিয়েছে নুসরতের ‘বন্ধু’ যশ দাশগুপ্তকে। কিছুদিন আগেই মুক্তিপ্রাপ্ত ব্রাত্য বসুর ছবি ‘ডিকশনারি’র প্রিমিয়ারেও ছবির নায়িকা নুসরতের সঙ্গে নিখিলকে দেখা যায়নি। উল্টো যশকে সঙ্গে নিয়েই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে ধরা দিয়েছিলেন।

অনেকের মতে, নিখিলের নুসরতের ধারেপাশে না-থাকা আর যশের বেশি বেশি করে থাকাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, নিখিলের সঙ্গে নুসরতের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই।

ঘটনাচক্রে, নুসরত-নিখিলের ইনস্টাগ্রামও বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁদের সম্পর্কের ‘তাল কাটা’র কথা। ২০১৯ সালের জুন মাসে বিয়ের পর থেকেই নিখিল-নুসরতের ‘পিডিএ’ অর্থাৎ, দু’জনের দু’জন সম্পর্কে ভালবাসার প্রকাশ্য অভিজ্ঞান। কিন্তু এখন দু’জনের তালিকা থেকেই দু’জন ব্রাত্য। গত ৩ আগস্টের পর থেকে নুসরতের ইনস্টায় একবারেও ভেসে ওঠেনি নিখিলের মুখ। বরং যশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই বেশি করে চোখে পড়েছে।

অন্য দিকে, নিখিলও নুসরতের সঙ্গে তোলা বেশ কিছু ছবি সরিয়ে দিয়েছেন নিজের প্রোফাইল থেকে। এখন সেখানে নুসরতের সঙ্গে যে ছবিগুলি দেখতে পাওয়া যায়, তা সবই বিয়ের পর পর তোলা। তবে নুসরতের সঙ্গে সম্পর্কের ছেদ পড়লেও নুসরতের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন নিখিল। দিন কয়েক আগেই নুসরতের বোন নুজহত জাহানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। নুজহত সেখানে ‘সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ’ জানিয়েছিলেন জামাইবাবুকে। শুধু তা-ই নয়। নুসরতের প্রতি ভালবাসার কথাও আকারে ইঙ্গিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভালবাসা দিবস’-এর দিন বুঝিয়েছিলেন নিখিল। সেদিন একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। যার সারমর্ম ‘কেউ একজন বদলে গেলেও আমি একই আছি।’ ওয়াকিবহাল মহল এবং টলিপাড়ার লোকজনের বুঝতে অসুবিধা হয়নি, সেই ‘কেউ একজন’ আসলে কে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে