তপনকান্তি মন্ডল,বিশেষ প্রতিনিধি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, ভারত :
বিশ্ব যোগ দিবস উপলক্ষে আজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার বিভিন্ন স্থানে দিনটি পালন করা হয়।
ডায়মণ্ড হারবার নেহরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে গুরুকূল যোগ মন্দিরের ব্যবস্থাপনায় বিদ্যানগর বালিকা বিদ্যালয়ে শতাধিক যুবা যোগ প্রদর্শনে অংশগ্রহণ করেন।
নেহরু যুব কেন্দ্রের জেলা যুব আধিকারিক অশোক সাহা, নমামি গঙ্গের জেলা প্রকল্পাধিকারিক সুজিত ভান্ডারী, রাজযোগ প্রশিক্ষিকা অঞ্জনা বেন, মৌখালি পঞ্চায়েত সদস্য কমল মণ্ডল, প্রাক্তন প্রধান সুখেন্দু বিকাশ পাঁজা প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন বক্তার কথায় বলা হয় যে, যোগ ভারতবর্ষের একটি প্রাচীন শারীরিক অনুশীলন পদ্ধতি। যার মাধ্যমে মানুষের শরীরকে সক্রিয় রাখা যায় এবং তার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি থেকে সমাজকে মুক্ত রাখা সম্ভব। অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষের মানসিক বিকাশ তথা মানসিক স্থিরতা বজায় রাখা সম্ভব। প্রত্যহ অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষের মানসিক স্থিরতা বৃদ্ধি করা ও নানান রোগ নিরাময় করা যায়। ভারতের এই প্রাচীন শারীরিক অনুশীলন পদ্ধতি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে- “নেহেরু যুব কেন্দ্র” ডায়মন্ড হারবার গ্রাম স্তর থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত স্তরে ও ব্লক স্তরে ক্লাব ও যুব সংগঠনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে ব্রতী হয়েছে।
গুরুকুল যোগ মন্দিরের প্রধান প্রশিক্ষক স্বরূপ কুমার দাস, প্রশিক্ষিকা নিবেদিতা দাস ও সহযোগী শিক্ষক সহর্ষ দাস দক্ষতার সঙ্গে আজকের যোগ শিবির পরিচালনা করেন। অংশগ্রহণকারীদের শংসাপত্র ও চারা গাছ প্রদান করা হয়।
এছাড়া ফলতা থানার শিবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেহরু যুব কেন্দ্র অনুমোদিত সংস্থা মুক্তকণ্ঠ এবং পতঞ্জলি যোগ সমিতির শিবানীপুর শাখার যৌথ উদ্যোগে ৮ম বিশ্ব যোগ দিবস উদযাপন করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দের ভাবধারায় পরিচালিত “মুক্তকণ্ঠ”-র পক্ষ থেকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও প্রাসঙ্গিক সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। যোগ প্রশিক্ষক বিধান চন্দ্র মণ্ডল এবং সুধাকর হালদার সমগ্ৰ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজকর্মী তপনকান্তি মণ্ডল যোগ ও প্রাণায়ামের উপকারিতা ও আধ্যাত্মিক দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন। মোঃ জাকির হোসেন যোগ চর্চার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। এই শিবিরে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।