স্পোর্টস ডেস্ক:

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনাকে রুখে দিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে গেল পিএসজি।

যদিও বার্সার জন্য কাজটা প্রায় অসম্ভবই ছিল। নিজেদের জাল অক্ষত রেখে করতে হবে চার গোল, এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামে মেসিরা। কিন্তু মেসির এক গোল ছাড়া কোম্যানের আর কোন শিষ্য যে এদিন জালের দেখা পায়নি। তাই তো দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ আটে পা রাখল পিএসজি।

বুধবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। প্রথম লেগে বার্সার বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছিল পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে মেসি-গ্রিজমানদের কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে পিএসজি। ১৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো বার্সেলোনা।

মাঠে নামার আগে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল পিএসজি। ৪-১ গোলে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু তারকা মেসিকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখেছিল বার্সেলোনা। ব্যবধান অনেক বড় হলেও যতগুলো সুযোগ তারা পেয়েছিল, তার অর্ধেকও কাজে লাগাতে পারেনি।

উল্টো ম্যাচের ৩০তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে তারা। এ সময় পেনাল্টি পায় পিএসজি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন প্রথম লেগের হ্যাটট্রিকম্যান কালিয়ান এমবাপে। তবে বেশিক্ষণ তাদের এগিয়ে থাকতে দেননি লিওনেল মেসি।

৩৭তম মিনিটে দারুণ এক গোল করে সমতা ফেরান তিনি। পেদ্রির ছোট পাসে ফাঁকা জায়গা পেয়ে আচমকা শটে জাল খুঁজে নেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। এটা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্জেন্টাইন তারকার ১২০তম গোল।

এরপর অবশ্য পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সা। সুযোগ পেয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু লিওনেল মেসির নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন পিএসজির গোলরক্ষক জেসাস নাভাস।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৬১তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। সতীর্থের পাস ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় পেয়ে শট নিতে একটু দেরি করে ফেলেন তিনি। এর আট মিনিট পর সের্হিও বুসকেতসের হেড দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন নাভাস।

এদিন ওসমানে দেম্বেলেসহ অন্যান্যরা ছিলেন সুযোগ মিসের মহড়ায়। তাতে মিরাকল কিছু উপহার দিতে পারেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আর যাওয়াও হয়নি কোয়ার্টার ফাইনালে।

আর ম্যাচ ড্র হওয়ার আনন্দে মাঠ ছাড়ে প্রতিযোগিতার গতবারের রানার্সআপ পিএসজি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে