ক্রীড়া ডেস্ক: ক্ষণে ক্ষণে মোড় নিচ্ছে মেসি-নাটক। যখনই মনে হচ্ছে পথের শেষ হয়তো দেখা যাচ্ছে, তখনই আবার নতুন মোড়। আরো জটিলতা, আরো অস্পষ্টতা, অনিশ্চয়তা। সেই নাটকটারই যবানিকাপাত অবশেষে। গতকাল লিওনেল মেসি নিশ্চিত করলেন চুক্তির বাকি বছরটা থেকে যেতে চান প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনায়। সমর্থকরা তাই বাঁচলেন হাঁফ ছেড়ে। মেসির মতো কিংবদন্তিকে মাঠের বদলে কি আর আদালতে মানায়। যে ক্লাবকে এতটা ভালোবাসেন তাদেরই বা কি করে আদালতে নেবেন তিনি ?

বার্সার চাপে যে জোড় করেই থাকছেন গোলডটকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানালেন সেটাও, আমি বার্সেলোনাকে ভালোবাসি। এর চেয়ে ভালো জায়গা আর পাব না নিশ্চয়ই। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারটা আমারই। আমি নতুন লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। চলে যেতে চাওয়ায় দোষের কিছু নেই। আমার এটা দরকার ছিল। ক্লাবেরও দরকার ছিল। সবার জন্যই এটা ভালো হতো।

বার্সায় মেসির থাকাটা নিশ্চিত করার আগে নাটক কিন্তু কম হয়নি। লা লিগা কর্তৃপক্ষ বার্সেলোনার পক্ষে বিবৃতি দেয় যে মেসির ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজ এখনো কার্যকর। তাতেও ঠিক ছিল, কারণ আর্জেন্টাইন তারকা সামনের মৌসুম থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তো সেটা হতো অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু তা ভীষণভাবে আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল হোর্হে মেসি তাঁর জবাব দিতেই। মেসির বাবার বিবৃতি, আমি জানি না, তারা কিসের ভিত্তিতে বলছে যে এই রিলিজ ক্লজ এখনো প্রাসঙ্গিক, যেখানে খেলোয়াড় চুক্তি বাতিল করতে চাইছে মৌসুম শেষে।

এরপর চুক্তির একটি ধারা উল্লেখ করেই তিনি লিখেছেন, তারা অবশ্যই ভুল করছেন। কারণ দুই পক্ষেরই স্বাক্ষর করা চুক্তির ৮.২.৩.৬ ধারা অনুযায়ী এই ক্ষতিপূরণ কার্যকর হবে না, যদি খেলোয়াড় নিজের থেকে চুক্তি বাতিল করতে চায় ২০১৯-২০ মৌসুম শেষে। মেসির বাবার এই বিবৃতির জবাব দিতে আবার লা লিগাও দেরি করেনি, তারা আগের অবস্থান ধরে রেখেই জানিয়েছে, ‘প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে তারা চুক্তির ভাবার্থ করেছে, যা আক্ষরিক অর্থ থেকে অনেক দূরে।’ মানে ব্যাপারটা গড়াতে পারত আদালতেই। মেসি সেটাই চাননি। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে