সেরা ছন্দে থেকেই এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। উপভোগ্য একটা লড়াইয়ের আশা ছিল ফুটবলপ্রেমীদের। হয়েছেও তাই। প্রথমার্ধে একচেটিয়া পারফর্ম করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সা। যদিও হার ঠেকাতে পারেনি মেসিরা।

শনিবার রাতে লা লিগার মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বার্সাকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষে উঠে গেল রিয়াল।

বার্সাকে হারিয়ে লিগে টানা চার ম্যাচ জিতল রিয়াল মাদ্রিদ; নয় ম্যাচ ধরে থাকল অজেয়। ঘরের মাঠ আলফ্রেডো ডি স্টিফানো স্টেডিয়ামে রিয়াল যে জিততে চলেছে সেটার আভাস মিলেছে শুরুতেই। ১৫ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল করে বার্সাকে একরকম ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় জিনেদিন জিদানের দল। করিম বেনজেমার গোলে লিড নেওয়া রিয়ালের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন টনি ক্রুস।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ম্যাচটা শুরু হলেও দ্বিতীয়ার্ধে নামে মুষলধারে বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। প্রতিকূল এই পরিবেশে ছন্দ হারায় রিয়াল। এমন অবস্থায় রিয়াল যে ঠিকঠাক খেলতে পারে না সেটা দেখা গেছে বেশ কয়েকটা ম্যাচেই। বিপরীতে প্রতিকূল পরিবেশে ছন্দে ফেরে বার্সা। ৬০ মিনিটে কমায় ব্যবধান। প্রথমবার এল ক্লাসিকো খেলতে নেমেই স্বপ্নের গোল পেয়ে যান ডিফেন্ডার মিঙ্গেসা।

কদিন আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে জোড়া গোল করেন ভিনিচিয়াস। কাল অন্তত একটি গোল পেতে পারতেন। কিন্তু ভাগ্যদেবী নিরাশ করেছে তাকে। ৬২ মিনিটে দ্বিতীয়বার হতাশ হন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। আবারও গোলপোস্টের কারণে গোলবঞ্চিত হন ভিনি। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগ তৈরি করেও হতাশ হয়েছেন ক্রুসও।

এদিকে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠা বার্সা ম্যাচের বাকি সময় চাপে রাখে রিয়ালকে। সময়ের ব্যবধানে তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। বার্সার আক্রমণের তোপ সামলাতে গিয়ে রিয়াল নেমে আসে ১০ জনের দলে। ৯০ মিনিটে মিঙ্গেসাকে ফাউল করলে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ক্যাসেমিরো। সুযোগটা প্রায় কাজে লাগিয়ে ফেলেছিল বার্সা। কিন্তু পয়েন্ট যে তাদের ভাগ্যে নেই।

মেসির পর এবার ইলাইশ মোরিবার শট ক্রসবারে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় বার্সা। কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ বাঁশি বাজতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের উদযাপন দেখে কেউ বিভ্রান্ত হতে পারেন, দলটা বুঝি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু না, রিয়াল শিরোপা জেতেনি। তবে পরপর তিনটি এল ক্লাসিকো জয়ের আনন্দ যে শিরোপার জয়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়! সবশেষ বার্সাকে টানা তিন ম্যাচে হারিয়েছিল ৪৩ বছর আগে।

লিগে টানা ১৯ ম্যাচ অজেয় থাকার পর পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল বার্সেলোনা। এই হারে লিগ টেবিলের তিনে নেমে গেলেন লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং। ৩০ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট বার্সার। সমান ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান পয়েন্ট অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদেরও। কিন্তু গোলগড়ে পিছিয়ে দুইয়ে নেমেছে তারা। তবে এক ম্যাচ কম খেলেছে অ্যাতলেটিকো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে