Dhaka ০৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবার চিকিৎসার জন্য দেশবাসীর কাছে আর্থিক সাহায্য চাইলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাইজা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
  • ৪১ Time View

আশরাফুল ইসলাম সুমন, সিংড়া :

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের এইচএসসি-২১ ব্যাচের মেধাবী পরীক্ষার্থী ফাইজা আক্তার সুরমা। সবসময় হাসিখুশি, প্রাণবন্ত কলেজ পরিচিত এই মেয়েটির জীবনে হঠাৎ নেমে আসে কালো অন্ধকারের ঘনঘটা। যে অন্ধকার গ্রাস করে নেয় পুরো পরিবারকে।

ফাইজার বাবা শাকিল আকতার গত ৬ বছর যাবৎ কিডনিজনিত জটিল রোগে আক্রান্ত। ২০১৬ সালের শেষের দিকে তার কিডনিজনিত রোগ ধরা পড়ে।

এনজিওতে চাকরী করা মধ্যবিত্ত শাকিল আকতার তখন থেকেই চিকিৎসা নিতে থাকেন। কিন্তু ধীরে ধীরে রোগের পরিধি বাড়তেই থাকে। উচ্চ চিকিৎসার জন্য তাকে ভারত পাড়ি দিতেও হয় দুইবার। এভাবে খরচ হয়ে যায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।

চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ব্যয় হলেও তার কিডনি ট্রান্সফার সম্ভব হয়ে উঠেনি।

বর্তমানে তার দুইটি কিডনিই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি রাজশাহী পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন। ডাক্তারের পরামর্শানুযায়ী খুব দ্রুত তার কিডনি ডায়ালাইসিস এবং কিডনি ট্রান্সফার করতে হবে। উচ্চ চিকিৎসার জন্য পুণরায় ভারতে যাওয়ার কথাও বলেছেন ডাক্তার। দ্রত উচ্চ চিকিৎসা না করালে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে উঠবে না। এই চিকিৎসার জন্য খরচ বাবদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দরকার।

কিন্তু ধারাবাহিক চিকিৎসায় মধ্যবিত্ত শাকিল আকতারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে এতো টাকার টাকা ব্যবস্থা করা। যার কারণে মৃত্যুর আশঙ্কাটাও অনেকাংশে বেড়ে গেছে। তার মেয়ে ফাইজা দেশবাসীর কাছে বাবার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা ও দোয়া চেয়ে বলেন, আমি আমার বাবাকে বাঁচাতে চাই। প্লিজ, আমার বাবাকে বাঁচতে দিন।

দেশের প্রতিটি বাবার সন্তানদের কাছে আমার বাবার উচ্চ চিকিৎসা ও সুস্থতার জন্য আর্থিক সাহায্য ও দোয়া চাচ্ছি। পরিশ্রম করে দিনশেষে ক্লান্তিকর শরীরে বাসায় ফেরা প্রতিটি বাবার সম্মানার্থে আমার বাবাকে সাহায্য করুন দয়া করে। প্লিজ, আমার বাবাকে বাঁচতে সাহায্য করুন।

আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতেঃ- ফাইজা আক্তার সুরমা (মেয়ে),
০১৭১৭১৮২৪১২ (বিকাশ)
০১৭১৭১৮২৪১২ (নগদ)

ব্যাংক একাউন্টঃ-
শাকিল আকতার, সঞ্চয়ী হিসাব নং:4622701008953, ক্যান্টনমেন্ট ব্রাঞ্চ, সোনালি ব্যাংক, রাজশাহী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বাবার চিকিৎসার জন্য দেশবাসীর কাছে আর্থিক সাহায্য চাইলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাইজা

Update Time : ১১:৪০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

আশরাফুল ইসলাম সুমন, সিংড়া :

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের এইচএসসি-২১ ব্যাচের মেধাবী পরীক্ষার্থী ফাইজা আক্তার সুরমা। সবসময় হাসিখুশি, প্রাণবন্ত কলেজ পরিচিত এই মেয়েটির জীবনে হঠাৎ নেমে আসে কালো অন্ধকারের ঘনঘটা। যে অন্ধকার গ্রাস করে নেয় পুরো পরিবারকে।

ফাইজার বাবা শাকিল আকতার গত ৬ বছর যাবৎ কিডনিজনিত জটিল রোগে আক্রান্ত। ২০১৬ সালের শেষের দিকে তার কিডনিজনিত রোগ ধরা পড়ে।

এনজিওতে চাকরী করা মধ্যবিত্ত শাকিল আকতার তখন থেকেই চিকিৎসা নিতে থাকেন। কিন্তু ধীরে ধীরে রোগের পরিধি বাড়তেই থাকে। উচ্চ চিকিৎসার জন্য তাকে ভারত পাড়ি দিতেও হয় দুইবার। এভাবে খরচ হয়ে যায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।

চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ব্যয় হলেও তার কিডনি ট্রান্সফার সম্ভব হয়ে উঠেনি।

বর্তমানে তার দুইটি কিডনিই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি রাজশাহী পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন। ডাক্তারের পরামর্শানুযায়ী খুব দ্রুত তার কিডনি ডায়ালাইসিস এবং কিডনি ট্রান্সফার করতে হবে। উচ্চ চিকিৎসার জন্য পুণরায় ভারতে যাওয়ার কথাও বলেছেন ডাক্তার। দ্রত উচ্চ চিকিৎসা না করালে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে উঠবে না। এই চিকিৎসার জন্য খরচ বাবদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দরকার।

কিন্তু ধারাবাহিক চিকিৎসায় মধ্যবিত্ত শাকিল আকতারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে এতো টাকার টাকা ব্যবস্থা করা। যার কারণে মৃত্যুর আশঙ্কাটাও অনেকাংশে বেড়ে গেছে। তার মেয়ে ফাইজা দেশবাসীর কাছে বাবার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা ও দোয়া চেয়ে বলেন, আমি আমার বাবাকে বাঁচাতে চাই। প্লিজ, আমার বাবাকে বাঁচতে দিন।

দেশের প্রতিটি বাবার সন্তানদের কাছে আমার বাবার উচ্চ চিকিৎসা ও সুস্থতার জন্য আর্থিক সাহায্য ও দোয়া চাচ্ছি। পরিশ্রম করে দিনশেষে ক্লান্তিকর শরীরে বাসায় ফেরা প্রতিটি বাবার সম্মানার্থে আমার বাবাকে সাহায্য করুন দয়া করে। প্লিজ, আমার বাবাকে বাঁচতে সাহায্য করুন।

আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতেঃ- ফাইজা আক্তার সুরমা (মেয়ে),
০১৭১৭১৮২৪১২ (বিকাশ)
০১৭১৭১৮২৪১২ (নগদ)

ব্যাংক একাউন্টঃ-
শাকিল আকতার, সঞ্চয়ী হিসাব নং:4622701008953, ক্যান্টনমেন্ট ব্রাঞ্চ, সোনালি ব্যাংক, রাজশাহী।