আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। ঘোষিত বাজেটে দেখা গেছে রূপচর্চা ও সাজসজ্জায় বাড়তি ব্যয় করতে হবে।
সোমবার (২ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেন।
রূপচর্চার পাশাপাশি প্রতিদিনের চলাফেরায় সাজসজ্জা একটি নৈমিত্তিক বিষয়। ত্বকের যত্ন ও রূপচর্চায় নিয়মিত প্রসাধনসামগ্রী কিনতে হয় নারী ও পুরুষদের। এবারের বাজেটে এই প্রসাধনসামগ্রীর ব্যয়কে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আমদানি হওয়া পণ্যগুলোর যে শুল্কায়ন মূল্য ছিল তা আসন্ন বাজেটে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে লিপস্টিক, লিপ লাইনার, লিপ গ্লস, লিপ জেল, আই শেডো, আই লাইনার, আই ব্রো পেন্সিল, মাশকারা, মেনিকিউর পেডিকিউরে ব্যবহৃত জেল, পাউডার, যেকোনো ধরনের ফেস বা স্কিনের ক্রিম, ময়েশ্চার লোশন, মেক-আপ কিট, ফাউন্ডেশন, ফেসওয়াশ, মেহেদিসহ আমদানি হওয়া নানা ধরনের প্রসাধনী। এসব পণ্যের ক্যাটাগরি ভেদে আমদানির সময় সর্বনিম্ন শুল্কায়ন মূল্য ৫ ডলার থেকে বেড়ে ৪০ ডলার পর্যন্ত হয়েছে।
বাজেটে প্রতি কেজি লিপস্টিকে সর্বনিম্ন শুল্কায়ন মূল্য ৪০ ডলার পর্যন্ত করা হয়েছে, যা আগে ছিল ২০ ডলার। এর মধ্যে সর্বনিম্ন শুল্কায়ন মূল্য সবচেয়ে বেশি বাড়ছে লিপস্টিক আমদানিতে।
বাজেটে দেখা গেছে, আগে লিপ জেল, লিপ গ্লোস এবং লাইক পণ্যে কোনো আমদানি শুল্ক ছিল না। এবার তা বৃদ্ধি করে কেজিতে ২০ ডলার করা হয়েছে। আই মেকারে কেজিতে সাত ডলার থেকে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। মেনিকিউর-পেডিকিউর পণ্যে আমদানি শুল্ক ৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। কেজিতে ফেইস, স্কিন ক্রিমে আমদানি শুল্ক ৮ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০ ডলার করা হয়েছে।
প্রতি কেজি ময়েশ্চার লোশনের আমদানি শুল্ক ৮ থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। প্রতি কেজি ফেইস ওয়াশে সাড়ে ছয় ডলার থেকে বাড়িয়ে আমদানি শুল্ক ১০ ডলার করা হয়েছে। প্রতি কেজি মেকআপ কিট, ফাউন্ডেশন অ্যান্ড লাইক প্রডাক্টসে আমদানি শুল্ক ৬ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১২ ডলার করা হয়েছে।