বিশেষ সংবাদদাতা, নদীয়া,পশ্চিমবঙ্গ:

আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রখ‍্যাত বাচিক সংস্থা”বাচিক স্বজনের”আয়োজনে বাচিক শিল্পী নীহারেন্দু ভট্টাচার্য স্মরণে রাজ‍্যস্তরের আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পর্ব হিসাবে নদীয়া জেলার আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় রাণাঘাট মালঞ্চ বিদ‍্যাপীঠে।

১০ বৎসর থেকে ১৬ বৎসর ও ১৬ বছরের উর্ধ্ব এই দুটি বিভাগে প্রায় ৫৫ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।দু’টি বিভাগ থেকে১০ জন প্রতিযোগী আগামী ৪ এপ্রিলে রাজ‍্যস্তরের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হলেন। করোনা ও নির্বাচনী বিধি মেনে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।

আজকের এই প্রতিযোগিতার শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক পৌর প্রতিনিধি উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাচিক স্বজনের সাফল‍্য ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন। বাচিক স্বজনদের সভাপতি মধুছন্দা তরফদার প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,  বাচিক স্বজন বর্তমানে গোটা পশ্চিমবঙ্গের বাচিক আন্দোলনকে সংগ্রামে,সৃজনের প্রসারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।আয়োজক কমিটির অন‍্যতম সহ সভাপতি সুব্রত গাঙ্গুলী বলেন- বাচিক স্বজন শুধুমাত্র প্রতিযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে সংস্কৃতির প্রসার ও বাচিক শিল্পকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতে তৎপর,বাচিক স্বজনের সহ সম্পাদক ও আজকের বিচারকদের মধ্যে অন‍্যতম ড. মহীতোষ গায়েনের এটি ২৫০ তম বিচার সম্পাদনা বলে জানা যায়। অধ‍্যাপক গায়েন বলেন-বাচিক স্বজন পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রসার,সৃজনের বিকাশ ও বাচিক আশ্রিত কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার প্রচেষ্টায় বদ্ধপরিকর। আজকে আরো যে ৩ জন বিচারক বিচারকার্য সম্পাদন করেন তারা হলেন- বাচিক শিল্পী সোমা সরকার,বিপ্লব গাঙ্গুলী ও জয়া মুস্তাফি রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শর্মিলা মাজী,মৌসুমী মজুমদার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শেষে বাচিক স্বজনের সভাপতি ও সম্পাদক মন্ডলী অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন‍্য রাণাঘাট মালঞ্চ বিদ‍্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে ধন‍্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এই অনুষ্ঠানটি সমগ্র নদীয়া জেলার জনমানসে গভীর প্রভাব ফেলে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে