Dhaka ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি শোকাবহ দিন – রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • 264

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি শোকাবহ দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদ হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী।

ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

শুক্রবার ২১আগস্ট উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ফসল মহান স্বাধীনতা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪ এর যুক্তফন্টের নির্বাচন, ৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬ এর ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে শাসকের বুলেটের আঘাতে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের। ১৯৭৫ সালের তেসরা নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতক চক্র থেমে থাকেনি। তারা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়।’

সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অনেকে। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে আজও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সকল রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি শোকাবহ দিন – রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

Update Time : ০৫:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি শোকাবহ দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদ হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী।

ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

শুক্রবার ২১আগস্ট উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ফসল মহান স্বাধীনতা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪ এর যুক্তফন্টের নির্বাচন, ৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬ এর ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে শাসকের বুলেটের আঘাতে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের। ১৯৭৫ সালের তেসরা নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতক চক্র থেমে থাকেনি। তারা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়।’

সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অনেকে। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে আজও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সকল রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসবে।’