মহীতোষ গায়েন, মফস্বল সম্পাদক,পশ্চিমবঙ্গ:
সাজি পত্রিকার সম্পাদকগণের পরিশ্রমের ফসল সাজি পত্রিকা শারদ সংখ্যা ১৪২৮ আজ প্রকাশ পেল, প্রকাশক আনন্দ প্রকাশন।
করোনাকালীন পরিস্থিতির জন্য কাগজ, প্রিন্টিং, বাঁধাই সবেরই খরচ প্রচণ্ড উর্ধ্বমুখী। সাজি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হেমন্ত সরখেল জানালেন-‘লেখকদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় অনবদ্য রচনাগুলি বাদ দেওয়ার ধৃষ্টতা না করতে পারায় এ-ফোর সাইজে বারো ফর্মা’র পত্রিকা শেষ পর্যন্ত দাঁড়ালো তেইশ ফর্মায়। যাঁরা লেখা পাঠিয়েছেন, সকলেই সাজির পারিজাত, বিভিন্ন শাখায় নিয়মিত লিখছেন। কাজেই সাজির গুণগত মান তাঁরা জানেন। চেনেন সাজির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক পারিজাতের নিরলস পরিশ্রমকে। সে সাহস এবং বিশ্বাসেই আমরা পত্রিকাটি বারো থেকে তেইশ ফর্মায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।”
সাজি পত্রিকার শারদ সংখ্যাটি এবার হয়েছে হৃদয়গ্রাহী ও সাহিত্য গুণসমৃদ্ধ, বড় গল্প লিখেছেন সাহিত্যিক নলিনী বেরা, পূর্ণাঙ্গ রম্য নাটক লিখেছেন সিটি কলেজের অধ্যাপক মহীতোষ গায়েন,বর্তমান সময়ের দলিল উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রবন্ধে,লিখেছেন ড.সমিত ঘোষ, অধ্যাপক মনোশান্ত বিশ্বাস, অধ্যাপক সৌম্য ঘোষ,সুকুমার রুজ ,সুখময় মণ্ডল প্রমুখ,গল্প বিভাগে চমৎকার সব গল্প আছে,মন কেড়েছেন উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত সরখেল,শর্মিষ্ঠা,হরিৎ বন্দোপাধ্যায়,অদিতি ঘোষ দস্তিদার,আবীর ভট্টাচার্য সহ অনেকেই।কবিতার পাতা ভরে উঠে জনপ্রিয় ও নতুন প্রায় শতাধিক কবির কবিতায়, যাদের মধ্যে অন্যতম সৈয়দ হাসমত জালাল, অংশুমান কর,রমা সিমলাই,গোলাম রসুল,প্রভাত চৌধুরী, গৌতম চট্টোপাধ্যায়,শর্মিষ্ঠা ঘোষ,মধুপর্ণা বসু, প্রণতা ভট্টাচার্য,কাশীনাথ দাস চাকলাদার, নার্গিস পারভীন, পারমিতা মুখার্জি প্রমুখ।
এককথায় পশ্চিমবঙ্গে এবারের শারদ সংখ্যগুলির মধ্যে শারদ সাজি প্রচ্ছদে,সাহিত্য সমৃদ্ধিতে,ছাপায় ও বর্তমান সময় ভাবনায় উৎকর্ষতার শীর্ষে যে অবস্থান করবে তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকছে না।