ক্রীড়া প্রতিবেদক:
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে লিটন কুমার দাসকে।
আজ বৃহস্পতিবার (দোসরা জুন) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন নতুন অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের নাম।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে টানা অফফর্মের কারণে নিজ থেকেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মুমিনুল হক। তাই বাধ্য হয়ে নতুন অধিনায়ক খুঁজে নিতে হলো বিসিবিকে। যেখানে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছিল সাকিবের নাম। তাকেই দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই তৃতীয় মেয়াদে টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
২০১৯ সালে সাকিব নিষেধাজ্ঞায় পড়ায় টেস্ট অধিনায়কত্ব পান মুমিনুল হক। তার নেতৃত্বে মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় ছাড়া নেই উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য বরং এই সময়ে ব্যাট হাতে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরই তার জোর সমালোচনা শুরু। যার অবসান ঘটালেন নিজেই। গত ৩১শে মে বিসিবি সভাপতিকে জানিয়ে দেন অধিনায়কত্ব আর করতে চান না। তার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েই নতুন অধিনায়কের পথে হাঁটলো দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এর আগে সাকিব ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা চোটে পড়ায় প্রথমবার টেস্ট অধিনায়কত্ব পান। ওই মেয়াদে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জেতেন একটিতে। পরে ২০১৮ সালে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে সাকিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেবার মাত্র চার ম্যাচ নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন তিনি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার আগে শেষ ম্যাচেও সাকিব ছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। সব মিলিয়ে আগের দুই মেয়াদে ১৪ টেস্টে ১১ হারের বিপিরীতে ৩ জয় সাকিবের।
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর নিয়মিত টেস্ট খেলা নিয়ে সাকিবের মধ্যে একপ্রকার অনীহাই দেখা দেয়। তবে এবার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে গুরুত্ব দেওয়ার ইচ্ছা থেকেই অধিনায়কত্ব নিতে রাজি হয়েছেন সাকিব। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে তার তৃতীয় দফার দায়িত্ব। এবার দেখা যাক বাংলাদেশ টেস্ট দলকে কতটা সাফল্য এনে দিতে পারেন তিনি।