বাংলাদেশ ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয়েছিল এই দিনে। ১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারি মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে ঢাকার মাঠে প্রথম ক্রিকেট খেলতে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেদিনই প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ’ নামে  খেলেন টাইগার ক্রিকেটারেরা। 

ম্যাচটি ছিল তিনদিনের। প্রয়াত শামিম কবির অধিনায়কত্বে মাঠে নামে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। আর সেই ম্যাচে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন রকিবুল হাসান।

যদিও এর আগে এমসিসির দলের সঙ্গে রাজশাহী এবং চট্টগ্রামে দুটি ম্যাচ হয়। তবে সেই ম্যাচ দুটিতে স্বাগতিক দল খেলেছিল আঞ্চলিক নাম নিয়ে, ‘বাংলাদেশ’ নামে নয়।

আজ মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিকদের যুগে ক্রিকেটে বাংলাদেশের উত্থানের কথা হয়তো মনে নেই অনেকেরই। কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতায় হারিয়ে যায়নি সেই পুরনো দিনটি। এই দিনেই বিশ্ব ক্রিকেটে টাইগারদের পথচলা শামিম-রকিবুলদের হাত ধরেই। আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে প্রায় স্বয়ংপূর্ণ একটি দল।

বাংলাদেশের হয়ে প্রথম বলটি খেলেছিলেন রকিবুল হাসান। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যে ক্রিকেট খেলাটা খেলতে পারি সেটা আমরা ৭ জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত করলাম। মাঠভর্তি দর্শক ঢোল–বাদ্য নিয়ে উপস্থিত। আমরা প্রমাণ করেছি এখানে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ছিল। প্রতিভাবান ক্রিকেটারও ছিল।

ম্যাচ খেলতে পোশাকের ব্যবস্থা ক্রিকেটাররা নিজ উদ্যোগেই করেছিলেন। অবশ্য বোর্ডের পক্ষ থেকে সবাইকে একটি করে ব্লেজার দেওয়া হয়েছিল। ঢাকায় তখন ক্রিকেট খেলার সরঞ্জামাদির দোকানও তেমন একটা ছিল না। স্পাইকের জুতা না পেয়ে বাংলাদেশের দলের দুই পেসার দৌলতুজ্জামান ও দিপু রায় চৌধুরী নৌবাহিনীর সাদা জুতা কিনে তাতে স্পাইক লাগিয়ে এমসিসির বিপক্ষে খেলতে নামেন।

পেসার দিপু রায় বলেছেন, ‘আমাদের ২৫ টাকা করে দিত। আমি ফাস্ট বোলার, আমার তো এক বেলাতেই ২৫ টাকা শেষ হয়ে যেত। তবে এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতাম না। আমরা খেলতাম ভালোবাসা থেকে।

বাংলাদেশ দলের প্রথম একাদশ
শামিম কবির (অধিনায়ক), রকিবুল হাসান, ইউসুফ রহমান বাবু, সৈয়দ আশরাফুল হক, শফিকুল হক হীরা, মাইনুল হক, এ এস এম ফারুক, ওমর খালেদ, দৌলতুজ্জামান, দিপু রায় চৌধুরী ও খন্দকার নজরুল কাদের লিন্টু।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে