বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৫৯০ বার জিন পরিবর্তন করেছে নভেল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে ৮টি একেবারেই নতুন মিউটেশন, যা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি; কেবল বাংলাদেশেই হয়েছে। বাংলাদেশের বিস্তার হওয়ার ভাইরাসটির সঙ্গে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে ইতালির ভাইরাসের সঙ্গে। দেশে করোনাভাইরাসের ২২২টি জিনোম সিকোয়েন্সিং উন্মোচন করে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ।
ভাইরাসের উৎস, গতি-প্রকৃতি আর বিস্তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়ার উপায় জিনোম সিকোয়েন্সিং। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রায় ৬৭ হাজার জিনোম সিকোয়েন্সিং ডাটা প্রকাশিত হয়েছে উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে।
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় হওয়া কোভিড নাইন্টিনের ২২২টি জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫৯০ বার বদলেছে করোনাভাইরাসের জিন, যার মধ্যে ৮টিই স্বতন্ত্র রূপ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিস্তার হওয়া ভাইরাসের সঙ্গে অধিক মিল রয়েছে ইতালির ভাইরাসের। তবে চূড়ান্তভাবে কিছু বলতে এখনো অনেক গবেষণা প্রয়োজন।
জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন ও ওষুধের প্রয়োগের ক্ষেত্রেও অংশীদার হতে পারবে বাংলাদেশ। জিনোম সিকোয়েন্সিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নমুনা নেয়া হয় ঢাকা বিভাগের- ৬২টি।