অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো বৈশ্বিক সরবরাহের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদন করার সামর্থ্য রাখে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। বুধবার নিউইয়র্কে ’কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের গবেষণা, উন্নয়ন, সরবরাহ এবং এর সমতাভিত্তিক বন্টন কাঠামো’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে এই কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ওষুধ শিল্পের কথা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এসব ওষুধ কোম্পানি আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে ১৪৫টি দেশে ওষুধ রফতানি করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ ওইসিডিভুক্ত দেশসমূহ।
বাংলাদেশের বর্তমান চাহিদার তুলনায় এসব কোম্পানির দ্বিগুণ ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা ও সামর্থ্য রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, যদি মেধাসত্ত্বের অধিকার অবলোপন করা হয় এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হয় তবে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো বৈশ্বিক সরবরাহের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে।
স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে যারা কাজ করছেন তাদের অগ্রগতিসমূহকে খুবই উৎসাহব্যঞ্জক আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘গ্লোবাল পাবলিক গুড’ হিসেবে পরিণত করতে নিঃসন্দেহে সুদৃঢ় বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন যে সব দেশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে এর সাশ্রয়ী ও নায্য বন্টন নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং এর জন্য একটি ন্যায্যতাভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ইভেন্টটি যৌথভাবে আয়োজন করেন যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ এবং ইউনাইটেড ন্যাশন্স ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ কাউসেনস।
অনুষ্ঠানটিতে কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিনসমূহের সার্বজনীন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে ব্রিফ করেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টিকা, ভ্যাকসিন ও বায়োলজিক্যালস্ এর পরিচালক কেট ও ব্রায়েন এবং গ্যাভী (এধার) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম্যারি-অ্যাঞ্জে সারাকা-ইয়াও।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের আবারও জোরালোভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে এই বিশ্বের সবাই এক অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। অতএব, বৈশ্বিক এই স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি সতর্কতা ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি পুনঃসংক্রমণ রোধ করতে চাই তাহলে প্রস্তুতি, প্রতিরোধ ও পুনরুদ্ধার বিষয়ে আমাদের একসঙ্গে এবং কার্যকর বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।