ক্রীড়া ডেস্ক :
বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে চায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত খেলতে আসা পাপুয়া নিউগিনি।
আল আমেরাতে টাইগারদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এমন হুঙ্কারই দিয়ে রেখেছেন দলটির ওপেনার চার্লস আমিনি।
সাকিব-রিয়াদদের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা দলটি মূলত স্কটল্যান্ডকে দেখেই পাচ্ছে বাংলাদেশকে হারানোর এমন সাহস।
পাপুয়া নিউগিনির মতই সহযোগী দেশ স্কটল্যান্ড, যারা বাংলাদেশকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছে। পাপুয়া নিউগিনিও একইভাবে অঘটন ঘটাতে চায়, বাংলাদেশকে হারিয়ে।
তবে বাংলাদেশ যে শক্তিশালী দল, তা মেনে নিতে অবশ্য কোনো দ্বিধা নেই আমিনির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এই আসরে খুব ভালো অবস্থানে থেকেই এসেছে। ওরা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। যদিও তারা এখানে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে। তবুও বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। আমরা তাদের সঙ্গে খেলতে পেরে সত্যি খুশি।’
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণই পাপুয়া নিউগিনির কাছে আনন্দের বড় উপলক্ষ্য। ওমান ও স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে ইতোমধ্যেই আসর থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে ওশেনিয়ার নবাগত দলটি। তবে যাওয়ার আগে অন্তত একটি জয় পেতে মুখিয়ে আছে তারা। তাই সুপার টুয়েলভের কথা না ভেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নেয়াতেই মনোযোগ দলটির ক্রিকেটাদের।
আমিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপে খেলতে পেরে সত্যি গর্বিত। আমরা নিজেদের চেষ্টার জন্যও গর্বিত। আমরা হয়ত প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছি কিন্তু এখনও আমাদের হাতে একটি সুযোগ আছে। স্কটল্যান্ড যদি অঘটন ঘটাতে পারে আমরাও বাংলাদেশকে হারিয়ে অঘটন ঘটাতে পারি।’
পিএনজি ওপেনার আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান কাজ হবে ম্যাচটা জেতা। কারণ জিতলে আমাদের জন্য ইতিহাস তৈরি হবে। জয়ের চেষ্টা করাটাই আমাদের হাতে। এর বাইরে কোনো কিছু তো আমাদের হাতে নেই। তাই আমরা এই সুযোগটাকে সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করতে চাই।’
এদিকে, পাপুয়া নিউগিনি যদি বাংলাদেশকে হারাতে পারে, তাতে ইতিহাস তো হবেই। তার ওপর জটিল হয়ে যাবে বি গ্রুপ থেকে সুপার টুয়েলভে ওঠার সব সমীকরণ। তখন তাদেরও সুযোগ থাকবে মর্যাদাপূর্ণ ওই রাউন্ডে খেলার।
সেইসাথে, আজ ওমানও যদি হারে তাহলে স্কটল্যান্ড বাদে দ্বিতীয় দল হিসেবে কে উঠবে সুপার টুয়েলভে- তা নিয়ে হিসেব কষতে বসে যাবে গোটা ক্রিকেটমহল।
যদিও রানরেটের হিসেবে ওমান ও বাংলাদেশের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পিএনজি। যাইহোক না কেন, বাংলাদেশের জন্য জয়ের কোনো বিকল্প নেই আজও।