সুবীর মণ্ডল ,বাঁকুড়া জেলা প্রতিনিধি:

‘নদীর ধারে বাস চিন্তা বারমাস’ এই প্রচলিত মিথটি শুধুমাত্র  সুন্দরবনের মানুষের জীবনে প্রযোজ্য নয়, বাঁকুুুড়া জেলার  মানুষের জীবনেও গভীর ভাবে  প্রযোজ্য।
একনাগাড়ে তিন দিনের  ভারী বর্ষণে  বাঁকুুুড়া  জেলার বিভিন্ন নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে  ভয়ঙ্কর ভাবে।দামোদর, শিলাবতী, দ্বারকেশ্বর ও গন্ধেশ্বরীর নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নদীর তীর সংলগ্ন পাড় ভেঙে বহু চাষের জমি, বসতবাড়ি  নদী গর্ভে  বিলীন হয়ে গেছে।
এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ। আতঙ্কের মধ্যে  দিন  কাটাচ্ছেন  সাধারণ মানুষ। গৃহহীন হয়েছেন অনেকেই। সমস্যার সমাধানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এগিয়ে  এসেছে  জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিনের সমস্যা  দূরীকরণে  প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছে  এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।

এবার নদীর পার ভাঙ্গন রোধে অভিনব উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন । শনিবার বাঁকুড়া জেলা শাসক শ্রীমতি কে রাধিকা আইযার পাত্রসায়ের ব্লকের বেলুট রসুলপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দামোদর নদীর পারে নদী ভাঙ্গন রোধে NREGS প্রকল্পে গাছ লাগানোর কর্মসূচির শুভ সূচনা করলেন । পাত্রসায়ের ইন্দাস সোনামুখী বড়জোড়ার দামোদর তীরবর্তী গ্রামবাসীরা সারা বছর নদী ভাঙনের আতঙ্কে থাকেন । কেননা বর্ষা এলে বন্যার কবলে পড়ে বিভিন্ন সময়ে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বহু সাধারণ মানুষের তিন ফসলি চাষের জমি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । তাই আগামী দিনে সাধারণ মানুষকে যাতে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়তে না হয় সে কারণেই বাঁকুড়া জেলা শাসকের উদ্যোগে নদী ভাঙ্গন রোধে নদীর পাড় বরাবর গাছ লাগানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ।
এদিন তিনি নিজে হাতে গাছ লাগিয়ে সেই কর্মসূচির শুভ সুচনা করলেন । এর ফলে নদী ভাঙ্গন অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে । এছাড়াও পাত্রসায়ের ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত তিনি পরিদর্শন করেন । বাঁকুড়া জেলা শাসক শ্রীমতি কে রাধিকা আইয়ার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,পাত্রসায়ের বিডিও নিবিড় মন্ডল, পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহ, বেলুট রসুলপুর পঞ্চায়েত প্রধান তাপস বাড়ি , পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত প্রধান পূরবী দত্ত মল্লিক , সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ । জেলাশাসক মহোদয়া  জানান , ‘NREGS প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখলাম ও রাজ্যের নির্দেশমতো আমরা কাজ করছি । এই কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের কাজের দরকার আছে তাই রাজ্যের নির্দেশমতো আমরা এই কাজের উপর আরো জোর দিয়েছি’ ।  বিষ্ণুপুর, সিমলাপাল,  বাঁকুড়া- ১,পাত্রসায়র   ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে অতি বর্ষণে জলস্তর বাড়াতে দুর্বল বাঁশের সাঁকো গুলো ভেঙে গিয়েছে এবং  বহু রাস্তা  নষ্ট  হয়েছে,বসতবাড়ি ভেঙে গেছে  সেগুলিকে দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে   জানিয়েছেন।  সেই সাথে  পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে আশ্বস্ত করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে