Dhaka ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হতে পারে সরকারি ৬ মেডিকেল কলেজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ১৯ Time View

অবকাঠামো, জনবল ও গবেষণাগারের অভাব থাকায় সরকার বন্ধ করে দিতে পারে দেশের ছয় মেডিকেল কলেজ। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আর বন্ধ করে দেওয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠানো হবে নিকটবর্তী কোনো মেডিকেল কলেজে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন বলেন, এই ছয় মেডিকেল কলেজের কোনোটিতেই নেই স্থায়ী ক্যাম্পাস। সদর হাসপাতাল বা ভাড়া ভবনে চলছে ক্লাস। নেই মানসম্মত ল্যাব। জনবল অনুমোদন না হওয়ায় অন্য কলেজ থেকে শিক্ষক এনে চলে পাঠদান। এত সংকটের ভেতরেও বাড়ানো হয় আসন সংখ্যা। এ অবস্থায় ছয় কলেজ নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনা এবং পরিকল্পনা-প্রস্তুতি ছাড়া আর কোনো মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হবে না।

অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপি ও আমলা এই ছয় মেডিকেল কলেজে তৈরী করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে অনুমোদন পায় নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজ। পরের বছর সদর হাসপাতালের কয়েকটি কক্ষে শুরু হয় ক্লাস। এখনও চলছে জোড়াতালি দিয়েই। এরপরও গত বছর আসন সংখ্যা ৫০ থেকে ৭০ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজে নেই রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রার। সেই সঙ্গে রয়েছে শিক্ষক সংকট। খণ্ডকালীন শিক্ষকেরা এসে এখানে ক্লাস নিচ্ছেন। এ ছাড়া কলেজের গবেষণাগারে নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি। এ কারণে বইয়ের ওপরই নির্ভরশীলতা থাকতে হচ্ছে। কোনো কিছুই হাতে-কলমে শিখতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

চাঁদপুর মেডিকেলের জমি অধিগ্রহণই শেষ হয়নি। কিন্তু কলেজ চলছে ছয় বছর ধরে। সদর হাসপাতালের মাত্র আটটি কক্ষেই চলছে এই কলেজ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, চাঁদপুর মেডিকেলের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের জায়গার সংকুলান হয় না। এক ব্যাচের ক্লাস চলাকালীন অন্য ব্যাচ দাঁড়িয়ে থাকে।

এ ছাড়া এ কলেজের নেই কোনো নিজস্ব হোস্টেল। একটা ভবন ভাড়া নিয়ে সেখানে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নওগাঁ, নীলফামারী, মাগুরা ও হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অবস্থাও একই। ছয়টি মেডিকেলই তৈরি হয়েছে কোনো পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি ছাড়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

বন্ধ হতে পারে সরকারি ৬ মেডিকেল কলেজ

Update Time : ০৬:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

অবকাঠামো, জনবল ও গবেষণাগারের অভাব থাকায় সরকার বন্ধ করে দিতে পারে দেশের ছয় মেডিকেল কলেজ। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আর বন্ধ করে দেওয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠানো হবে নিকটবর্তী কোনো মেডিকেল কলেজে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন বলেন, এই ছয় মেডিকেল কলেজের কোনোটিতেই নেই স্থায়ী ক্যাম্পাস। সদর হাসপাতাল বা ভাড়া ভবনে চলছে ক্লাস। নেই মানসম্মত ল্যাব। জনবল অনুমোদন না হওয়ায় অন্য কলেজ থেকে শিক্ষক এনে চলে পাঠদান। এত সংকটের ভেতরেও বাড়ানো হয় আসন সংখ্যা। এ অবস্থায় ছয় কলেজ নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনা এবং পরিকল্পনা-প্রস্তুতি ছাড়া আর কোনো মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হবে না।

অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপি ও আমলা এই ছয় মেডিকেল কলেজে তৈরী করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে অনুমোদন পায় নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজ। পরের বছর সদর হাসপাতালের কয়েকটি কক্ষে শুরু হয় ক্লাস। এখনও চলছে জোড়াতালি দিয়েই। এরপরও গত বছর আসন সংখ্যা ৫০ থেকে ৭০ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজে নেই রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রার। সেই সঙ্গে রয়েছে শিক্ষক সংকট। খণ্ডকালীন শিক্ষকেরা এসে এখানে ক্লাস নিচ্ছেন। এ ছাড়া কলেজের গবেষণাগারে নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি। এ কারণে বইয়ের ওপরই নির্ভরশীলতা থাকতে হচ্ছে। কোনো কিছুই হাতে-কলমে শিখতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

চাঁদপুর মেডিকেলের জমি অধিগ্রহণই শেষ হয়নি। কিন্তু কলেজ চলছে ছয় বছর ধরে। সদর হাসপাতালের মাত্র আটটি কক্ষেই চলছে এই কলেজ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, চাঁদপুর মেডিকেলের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের জায়গার সংকুলান হয় না। এক ব্যাচের ক্লাস চলাকালীন অন্য ব্যাচ দাঁড়িয়ে থাকে।

এ ছাড়া এ কলেজের নেই কোনো নিজস্ব হোস্টেল। একটা ভবন ভাড়া নিয়ে সেখানে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নওগাঁ, নীলফামারী, মাগুরা ও হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অবস্থাও একই। ছয়টি মেডিকেলই তৈরি হয়েছে কোনো পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি ছাড়া।