Dhaka ১২:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১১৪ Time View

জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিদ্যমান সুদহার বহাল রেখে দেশে শক্তিশালী বন্ড মার্কেট গড়ে তোলা কঠিন- এমনটাই বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তাই সুদের হার নির্ধারণের বিষয়টি বাজারের ওপরেই ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ তাদের। তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লাগাম টানতে এরই মধ্যে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা মানুষকে বন্ডে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।  

সম্প্রতি বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের বন্ড অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যেখানে সুদের হার আট থেকে দশ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। বন্ড ও ব্যাংকিং আমানতের সুদহারে পার্থক্য বেশ খানিকটা। তবে সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বন্ডে সুদ এখনও বেশ কম।

সঞ্চয়পত্রে এখনও এগারো থেকে সাড়ে এগারো শতাংশ পর্যন্ত সুদ গুণতে হচ্ছে সরকারকে। তাই নিরুৎসাহমূলক কিছু উদ্যোগের পরও বিক্রি খুব একটা কমছে না। গেল অর্থবছরে বিক্রি হয়েছে ৬৭ হাজার ১২৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। যদিও এ সময় সুদ-আসল মিলে প্রায় ৫২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পরিশোধ করে সরকার।

সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে লাগাম টানতে ব্যাংক হিসাব, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু উচ্চসুদের কারণে এখনও সঞ্চয়পত্রেই বেশি ঝোক মানুষের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও বন্ডের সুদহার বাজারভিত্তিক হওয়াই যৌক্তিক।

পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের এই প্রয়াসটা তখনই সফল হবে যখন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাজারের সাথে সামঞ্জস্য করা হবে। এখন এটা বাজারের সাথে সামঞ্জস্যকরণ করা হয়নি, অনেক উঁচু পর্যায়ে আছে। কাজেই কেউ বন্ড ইস্যু করে উচ্চহারে সুদ দিয়ে মানি মার্কেট থেকে বা বন্ড মার্কেট থেকে টাকা নেওয়ার প্রয়াস করবে না।

তবে বিএসইসি বলছে, এখনও অনেক মানুষ সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ধাপে ধাপে এ খাতের সুবিধা কমানো হচ্ছে। আর এই প্রক্রিয়ার সাথে মিল রেখে ধীরে ধীরে বন্ড মার্কেটও এগিয়ে যাবে।

বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি এখন অনেকটুই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, আগামীতে এই নিয়ন্ত্রণ আরও বৃদ্ধি পাবে। যারা ব্যবসায়ী আছেন যারা ইনভেস্ট করছেন তারা, যারা সঞ্চয় রেখেছেন তারা যে পরিমাণ টাকা বাজারে নিয়ে আসতে চান সেটি এটির জন্য একেবারে ব্যাহত হচ্ছে আমি তা মনে করি না।

বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে প্রত্যাশিত আয় আসলে সঞ্চয়পত্রের ওপর মানুষের নির্ভরতা এমনিতেই কমে যাবে বলে মত বিএসইসির এই কমিশনারের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি

Update Time : ০৯:৩০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিদ্যমান সুদহার বহাল রেখে দেশে শক্তিশালী বন্ড মার্কেট গড়ে তোলা কঠিন- এমনটাই বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তাই সুদের হার নির্ধারণের বিষয়টি বাজারের ওপরেই ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ তাদের। তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লাগাম টানতে এরই মধ্যে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা মানুষকে বন্ডে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।  

সম্প্রতি বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের বন্ড অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যেখানে সুদের হার আট থেকে দশ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। বন্ড ও ব্যাংকিং আমানতের সুদহারে পার্থক্য বেশ খানিকটা। তবে সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বন্ডে সুদ এখনও বেশ কম।

সঞ্চয়পত্রে এখনও এগারো থেকে সাড়ে এগারো শতাংশ পর্যন্ত সুদ গুণতে হচ্ছে সরকারকে। তাই নিরুৎসাহমূলক কিছু উদ্যোগের পরও বিক্রি খুব একটা কমছে না। গেল অর্থবছরে বিক্রি হয়েছে ৬৭ হাজার ১২৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। যদিও এ সময় সুদ-আসল মিলে প্রায় ৫২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পরিশোধ করে সরকার।

সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে লাগাম টানতে ব্যাংক হিসাব, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু উচ্চসুদের কারণে এখনও সঞ্চয়পত্রেই বেশি ঝোক মানুষের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও বন্ডের সুদহার বাজারভিত্তিক হওয়াই যৌক্তিক।

পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের এই প্রয়াসটা তখনই সফল হবে যখন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাজারের সাথে সামঞ্জস্য করা হবে। এখন এটা বাজারের সাথে সামঞ্জস্যকরণ করা হয়নি, অনেক উঁচু পর্যায়ে আছে। কাজেই কেউ বন্ড ইস্যু করে উচ্চহারে সুদ দিয়ে মানি মার্কেট থেকে বা বন্ড মার্কেট থেকে টাকা নেওয়ার প্রয়াস করবে না।

তবে বিএসইসি বলছে, এখনও অনেক মানুষ সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ধাপে ধাপে এ খাতের সুবিধা কমানো হচ্ছে। আর এই প্রক্রিয়ার সাথে মিল রেখে ধীরে ধীরে বন্ড মার্কেটও এগিয়ে যাবে।

বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি এখন অনেকটুই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, আগামীতে এই নিয়ন্ত্রণ আরও বৃদ্ধি পাবে। যারা ব্যবসায়ী আছেন যারা ইনভেস্ট করছেন তারা, যারা সঞ্চয় রেখেছেন তারা যে পরিমাণ টাকা বাজারে নিয়ে আসতে চান সেটি এটির জন্য একেবারে ব্যাহত হচ্ছে আমি তা মনে করি না।

বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে প্রত্যাশিত আয় আসলে সঞ্চয়পত্রের ওপর মানুষের নির্ভরতা এমনিতেই কমে যাবে বলে মত বিএসইসির এই কমিশনারের।