স্প্যানিশ লা লিগে কষ্টের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে দু’বার পিছিয়ে পড়ে কোম্যানের দল। প্রথমবার মেসির গোলে সমতায় ফেরে তারা, এরপর প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গেলেও ৭ মিনিট পরেই সমতায় ফেরে বেতিস। আর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাওয়ের গোলের সুবাদে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে কাতালান জায়ান্টরা।

রোববার রাতে বেতিসের মাঠে তাদেরকে ২-৩ গোলে হারিয়েছে বার্সা। তবে প্রথমার্ধে বোর্জা ইগলেসিয়াসের গোলে এগিয়ে যায় বেতিস। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামার তিন মিনিট পরেই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের গোলে সমতায় ফেরে বার্সা।

ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকের পোস্টের কাছ থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করে প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন বোর্জা ইগলেসিস।

দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল শোধে মরিয়া কোম্যান বেঞ্চ থেকে দলের সেরা খেলোয়াড় মেসিকে নামান মাঠে। ৩ মিনিট পরেই দলকে সমতায় ফেরান বার্সা অধিনায়ক। উসমানে দেম্বেলের পাস থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের অসাধারণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

৬৮তম মিনিটে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে বার্সাকে এগিয়ে যাওয়ার স্বাদ পাইয়ে দেন বেতিসের ডিফেন্ডার ভিক্তর রুইজ। আলবার দিকে পাস দিয়েছিলেন মেসি এবং বার্সা ফুল-ব্যাক বল পাঠান গ্রিজম্যানের দিকে। ফরাসি ফরোয়ার্ড গোল করার আগেই বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঢুকিয়ে দেন রুইজ।

তবে ৭৫তম মিনিটে নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন রুইজ। এবার দারুণ নেবিল ফেকিরের ক্রসে হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।

শেষদিকে দুটি দারুণ সেভ করে বার্সাকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান। এবারও হেডে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন রুইজ। কিন্তু ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন। এরপর লোরেনও শট নেন। এবারও ঠেকিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক। এর দুই মিনিট পর বার্সাকে জয়সূচক গোল এনে দেন ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাও। এবার রুইজ বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল কেড়ে নিয়ে বার্সার জার্সিতে নিজের প্রথম গোল তুলে নেন পর্তুগিজ স্ট্রাইকার।

এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো বার্সা। ২১ ম্যাচে ১৩ জয় নিয়ে তাদের পয়েন্ট ৪৩। ২ ম্যাচ কম খেলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। বার্সার সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে তিনে নেমে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে