প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জী, হুগলি জেলা প্রতিনিধি:
বর্তমানে একদিকে কোভিড নিয়ে যখন রীতিমতো জর্জরিত দেশ তথা বিশ্ব সেই সময়েই গত বছরের আমফানের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে ঘুর্ণিঝড় যশ।
সাময়িক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও নতুন করে ঘুর্ণিঝড়ের আভাস ঘুম কেড়েছে বঙ্গবাসীর।
বাংলার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, এই ঝড়ের ক্ষমতা হতে চলেছে আমফানের থেকেও অনেকটাই বেশি।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর থেকে।কয়েকদিন যাবৎ গরম এর মাত্রা তীব্র হ্ওয়ার রীতিমতো অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই গরমে অস্বস্তি সহ্য করতে হবে আগামী আরো দুদিন, এমনটাই মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর। শুধু তাই নয়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে প্রায় ৩৯ ডিগ্রী অবধি। তবে শুক্রবার থেকে কিছুটা মুক্তি। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে রয়েছে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে ঝড় আছড়ে পড়তে পারে রবিবার অর্থাৎ ২৩ মে।
গতবছর আমফানে ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। চারিদিকে গাছ পড়ে থাকায় থমকে গিয়েছিল শহর কলকাতাও। আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা, আমফানের থেকেও অনেক বেশি ক্ষমতা রয়েছে যশের। তাই তার ধ্বংসকারী প্রভাব হতে পারে মারাত্মক।
তবে এবার আগে ভাগেই তৎপর পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ঝড়ের দাপট মোকাবিলার জন্য দফায় দফায় বৈঠক বসছে নবান্নতে। গত বছরের বিপর্যয়ের পরে এবছর সাবধানতায় কোথাও কোনো ত্রুটি রাখতে চাইছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখন এইটাই দেখার ঘুর্ণিঝড় যশ কতটা প্রকোপশালী হয়ে আছড়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের ওপরে, এবং বঙ্গবাসী তা কিভাবে মোকাবিলা করে।