খুলনা প্রতিনিধি :
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হতো। দেশের মানুষ ভালোবেসে যাকে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু উপাধি এবং স্বাধীন দেশের সংবিধান যাকে দিয়েছে জাতির পিতার স্বীকৃতি।
জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো ভাবনা ছিল না বঙ্গবন্ধুর; তিনি বলতেন, “আমার জন্মদিনই কী, আর মৃত্যুদিনই কী? আমার জনগণের জন্য আমার জীবন ও মৃত্যু। আমি তো আমার জীবন জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছি।”
তিনি আরো বলেন,
গতবছর সাড়ম্বরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছিল সরকার। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারীতে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে মূল আয়োজন সীমিত করা হয়।
তারপরও নানা আয়োজনে আগামী বিজয় দিবস পর্যন্ত মুজিববর্ষের উদযাপন চলবে। তারই মধ্যে এবারের স্বাধীনতা দিবসে আসছে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের আরেক মাহেন্দ্রক্ষণ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনা রূপসা অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  জুম মিটিংয়ে এ কথা বলেন।
রূপসা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের সহযোগিতায় সভায় সভাপতিত্ব করেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বকর মোল্লার সঞ্চলনায়
 বক্তব্য রাখেন  এ এসপি ইমদাদুল হক,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুজ্জামান, রূপসা থানা অফিসার ইন চার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন পারভীন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, সমবায় কর্মকর্তা প্রশান্ত ব্যানাজী, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তারেক ইকবাল আজিজ, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা তপু সাহা, সমাজ সেবা কর্মকর্তা জেসিয়া জামান, মেডিকেল অফিসার সঙ্গীতা চৌধুরী, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা তাহেরা খাতুন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক ,মনসুর আলী বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস,হরষিত বিশ্বাস, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোরশেদুল আলম বাবু,রুপসা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক শেখ, দপ্তর সম্পাদক চন্দন ভট্টাচার্য ,মাধুরি সরকার, মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী বৃন্দ প্রমূখ। পরে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী বৃন্দ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতা ও চিএাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে