কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের নিঃশেষ করতেই ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছিল ৭১’এর পরাজিত শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ৭১’এর পরাজিত শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশকে, এ দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রাদায়িক, গণতান্ত্রিক, ন্যায় ও সমতা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ ও চেতনাকে, বাঙালির আত্মাকে হত্যা করতে চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকবর্তিকা এখন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। তাঁকে হত্যা করতেই ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ১৫ই আগস্ট এবং ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা একইসূত্রে গাঁথা। যারা ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছে, যারা পাকিস্তানের লেজুড়বৃত্তি করে, যারা ধর্মকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আর্দশ ও ঐতিহ্যকে বিলুপ্ত করতে চায়- তারাই ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে কায়দায় এরা হত্যাকান্ড ও নির্যাতন চালিয়েছিল ঠিক একই কায়দায়, একই ধারায় দিবালোকে ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছে, যুদ্ধের মতো। এ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে এরা আওয়ামী লীগকে নির্মূল, নেতৃত্বশূন্য এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের নিঃশেষ করতে চেয়েছিল।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়িত হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। শোক দিবস পালন অর্থপূর্ণ হবে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো: আরিফুর রহমান অপু।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মুঈদের সভাপতিত্বে বিএডিসির চেয়ারম্যান মো: সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. নাজিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর বা সংস্থার সারা দেশের প্রাায় ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারি অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
সভার শুরুতেই ১৫ আগস্টে শহিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।- বাসস