Dhaka ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৬

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১২৯ Time View

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:

বগুড়ায় বিষাক্ত মদ পানে নতুন করে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার মারা গেছেন চারজন। আর একজন গতকাল সোমবার রাতে মারা গেছেন, যাঁর মৃত্যুর খবর আজ জানিয়েছে পুলিশ। শেষ মারা যাওয়া এই পাঁচজনের মধ্যে দুজন হাসপাতালে এবং বাকি তিনজন বাড়িতে মারা গেছেন।

এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় মদ পানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬। এর মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে এবং বাকি ১১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

নতুন করে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার রামনাথ রবিদাস (৬০), পুরান বগুড়া জিলাদারপাড়ার কুলিশ্রমিক রমজান আলী (৬৫), শাজাহানপুর উপজেলার দুরুলিয়া মণ্ডলপাড়ার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মেকার মেহেদী হাসান (২৮), রহিমাবাদ উত্তরপাড়ার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আবদুর রাজ্জাক (৪০) এবং কাটাবাড়িয়া এলাকার জমি মাপজোখকারী সার্ভেয়ার আহাদ আলী (৩৮)।

এর আগে সোমবার বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন বগুড়া শহরের শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার প্রেমনাথ রবিদাস (৭০), তাঁর ছেলে সুমন রবিদাস (৩৮), বগুড়া সদরের ফাঁপোড় এলাকার রিকশাচালক জুলফিকার রহমান (৫৬), ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ার রিকশাচালক আবদুল জলিল (৬৫), ফুলবাড়ী এলাকার কারখানাশ্রমিক পলাশ (৩৪), শহরের কাটনারপাড়া এলাকার হোটেলশ্রমিক সাজু মিয়া (৫৫), বগুড়া শহরের চারমাথা ভবেরবাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন (৫৫), শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি রমজান আলী (৬০), কাটনারপাড়া হটুমিয়া লেনের বাবুর্চি মোজাহার আলী (৭৫) ও কাহালু পৌর এলাকার উলুট্ট মহল্লার অটোরিকশার চালক কালাম (৫০)।

মদ পানে বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া এলাকার একই পরিবারের তিন সদস্য মারা গেছেন। তাঁরা হলেন দুই ভাই প্রেমনাথ রবিদাস ও রামনাথ রবিদাস এবং প্রেমনাথের ছেলে সুমন রবিদাস। প্রেমনাথের ছোট ছেলে সুজন রবিদাস প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পেশায় মুচি। জুতা সেলাই করে সংসার চালাতেন। তাঁর দাবি, বাবা প্রেমনাথ, চাচা রামনাথ, বড় ভাই সুমন এবং একই এলাকার রমজান আলী শহরের তিনমাথা এলাকার খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর ইসলামের কাছ থেকে নিয়মিত মদ কিনে খেতেন। একই দোকান থেকে মদ কিনে তাঁরা রোববার কোনো এক সময় পান করেন। চারজনই মারা গেছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিববাটি এলাকার হোটেলশ্রমিক রঞ্জু মিয়া (৪০), ফুলবাড়ী এলাকার পায়েল (৩৮) এবং কালীতলা এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আইয়ুব আলী (৩৯)। অন্যদিকে এ ঘটনায় রঞ্জুর ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শহরের তিন হোমিও দোকানিকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

অসুস্থ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শহরের পারুল হোমিও হল, খান হোমিও হল, সাতমাথায় একটি দেশি মদের দোকানসহ কয়েকটি দোকান থেকে অ্যালকোহল কিনে পান করে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পর থেকে খান হোমিও হল বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন মালিক শাহিনুর রহমান। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ। লাপাত্তা পারুল হোমিও হলের মালিক নুরুন্নবী শেখও।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, অভিযুক্ত অ্যালকোহল ব্যবসায়ীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

বগুড়ায় বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৬

Update Time : ০২:১১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:

বগুড়ায় বিষাক্ত মদ পানে নতুন করে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার মারা গেছেন চারজন। আর একজন গতকাল সোমবার রাতে মারা গেছেন, যাঁর মৃত্যুর খবর আজ জানিয়েছে পুলিশ। শেষ মারা যাওয়া এই পাঁচজনের মধ্যে দুজন হাসপাতালে এবং বাকি তিনজন বাড়িতে মারা গেছেন।

এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় মদ পানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬। এর মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে এবং বাকি ১১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

নতুন করে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার রামনাথ রবিদাস (৬০), পুরান বগুড়া জিলাদারপাড়ার কুলিশ্রমিক রমজান আলী (৬৫), শাজাহানপুর উপজেলার দুরুলিয়া মণ্ডলপাড়ার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মেকার মেহেদী হাসান (২৮), রহিমাবাদ উত্তরপাড়ার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আবদুর রাজ্জাক (৪০) এবং কাটাবাড়িয়া এলাকার জমি মাপজোখকারী সার্ভেয়ার আহাদ আলী (৩৮)।

এর আগে সোমবার বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন বগুড়া শহরের শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার প্রেমনাথ রবিদাস (৭০), তাঁর ছেলে সুমন রবিদাস (৩৮), বগুড়া সদরের ফাঁপোড় এলাকার রিকশাচালক জুলফিকার রহমান (৫৬), ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ার রিকশাচালক আবদুল জলিল (৬৫), ফুলবাড়ী এলাকার কারখানাশ্রমিক পলাশ (৩৪), শহরের কাটনারপাড়া এলাকার হোটেলশ্রমিক সাজু মিয়া (৫৫), বগুড়া শহরের চারমাথা ভবেরবাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন (৫৫), শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি রমজান আলী (৬০), কাটনারপাড়া হটুমিয়া লেনের বাবুর্চি মোজাহার আলী (৭৫) ও কাহালু পৌর এলাকার উলুট্ট মহল্লার অটোরিকশার চালক কালাম (৫০)।

মদ পানে বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া এলাকার একই পরিবারের তিন সদস্য মারা গেছেন। তাঁরা হলেন দুই ভাই প্রেমনাথ রবিদাস ও রামনাথ রবিদাস এবং প্রেমনাথের ছেলে সুমন রবিদাস। প্রেমনাথের ছোট ছেলে সুজন রবিদাস প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পেশায় মুচি। জুতা সেলাই করে সংসার চালাতেন। তাঁর দাবি, বাবা প্রেমনাথ, চাচা রামনাথ, বড় ভাই সুমন এবং একই এলাকার রমজান আলী শহরের তিনমাথা এলাকার খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর ইসলামের কাছ থেকে নিয়মিত মদ কিনে খেতেন। একই দোকান থেকে মদ কিনে তাঁরা রোববার কোনো এক সময় পান করেন। চারজনই মারা গেছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিববাটি এলাকার হোটেলশ্রমিক রঞ্জু মিয়া (৪০), ফুলবাড়ী এলাকার পায়েল (৩৮) এবং কালীতলা এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আইয়ুব আলী (৩৯)। অন্যদিকে এ ঘটনায় রঞ্জুর ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শহরের তিন হোমিও দোকানিকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

অসুস্থ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শহরের পারুল হোমিও হল, খান হোমিও হল, সাতমাথায় একটি দেশি মদের দোকানসহ কয়েকটি দোকান থেকে অ্যালকোহল কিনে পান করে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পর থেকে খান হোমিও হল বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন মালিক শাহিনুর রহমান। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ। লাপাত্তা পারুল হোমিও হলের মালিক নুরুন্নবী শেখও।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, অভিযুক্ত অ্যালকোহল ব্যবসায়ীদের আটকের চেষ্টা চলছে।